খাগড়াছড়িতে যা দেখতে পাবেন
অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলা৷ সর্পিল নদী, পাহাড়, পাহাড়ি ঝরনা, আদিবাসীদের গ্রাম – সে এক মনোরম পরিবেশ৷ এছাড়া পর্যটকদের জন্য আছে আরও কিছু আকর্ষণ৷ দেখুন ছবিঘরে৷
শহরে ঢোকার দরজা
খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশমুখে ‘খাগড়াছড়ি গেইট’৷
পাখির চোখে
কুয়াশায় ঢাকা খাগড়াছড়ি শহরের ‘বার্ডস আই ভিউ’৷ পুরো খাগড়াছড়ি জেলা জুড়ে পাহাড় আর পাহাড় থাকলেও, এর জেলা শহরটি কিন্তু একেবারেই সমতলে অবস্থিত৷
শীতে শান্ত, বর্ষায় ভয়ংকর
খাগড়াছড়ি শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সর্পিল আঁকা বাঁকা পাহাড়ি নদী ‘চেঙ্গী’৷ শীতে পাহাড়ি এ নদী শুকিয়ে গেলেও বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে৷
নদীর বাণিজ্যিক ব্যবহার
খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীতে বাঁশের ভেলা৷ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পাহাড় থেকে বাঁশ কেটে এ নদী দিয়ে ভাসিয়ে নেয়া হয় দেশের নানান প্রান্তে৷
দুর্গম পথ
পুরো খাগড়াছড়ি জেলাজুড়েই আছে এমন দুর্গম পাহাড়ি পথ৷ আঁকা বাঁকা এ সব পথে চলতে চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের৷
বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর জীবন দেখা
খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার নুনছড়ি এলাকায় ‘দেবতার পাহাড়’৷ দুর্গম এ পাহাড়ে দেখা মিলবে এ সব এলাকায় বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠী, তাঁদের সংগ্রামী জীবনধারা৷
দেবতার পুকুর
নুনছড়ি এলাকার দেবতার পাহাড়ের চূড়ায় দেবতার পুকুর৷ এর আরেক নাম ‘মাতাই পুখিরি’৷ ত্রিপুরা ভাষায় ‘মাতাই’ শব্দের অর্থ দেবতা আর ‘পুখিরি’ শব্দের অর্থ পুকুর৷ স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেবতার আশীর্বাদে পাহাড় চূড়ার এ পুকুরের পানি কখনো কমে না৷ দেবতার পুকুরের পাড়েই আছে একটি শিব মন্দির৷ এই মন্দিরকে ঘিরেই প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সেখানে বসে তীর্থ মেলা৷
রিসাং ঝরনা
খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে মনোরম প্রাকৃতিক ঝরনা রিসাং৷ বিশাল পাথুরে জায়গার এক প্রান্ত থেকে অঝোরে বইছে এই জলপ্রপাত৷ রিসাংয়ের চারপাশে পাহাড়ের নিস্তব্ধতা ভেঙে অবিরাম বয়ে চলছে রিসাংয়ের জলধারা৷ শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত ঝরনায় পানির প্রবাহ কম থাকে, বর্ষায়ে বেড়ে যায়৷
আলুটিলা পাহাড়
খাগড়াছড়ির আলুটিলা পাহাড়ে সূর্যাস্ত৷ শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরের এ পাহাড় থেকে খাগড়াছড়ি শহর আর চেঙ্গী নদীকে পাখির চোখে দেখা যায়৷
প্রাচীন গুহা
আলুটিলা পাহাড়ের নীচে প্রাচীন গুহা৷ পাহাড়ের চূড়া থেকে ২৬৬টি ধাপের একটি সিঁড়ি নেমে গেছে গুহাপথের মুখে৷ গুহার ভেতর দিয়ে বয়ে চলছে শীতল জলধারা৷
গুহায় অ্যাডভেঞ্চার
আলুটিলা গুহাপথে পর্যটক৷ এ গুহার একপ্রান্ত থেকে ঢুকে অন্য প্রান্তে পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১৫ মিনিট৷ ঘুটঘুটে অন্ধকার এ গুহায় প্রবেশ করতে হয় মশাল নিয়ে৷ প্রবেশ পথেই কিনতে পাওয়া যায় এ মশাল৷
ঝুলন্ত সেতু
খাগড়াছড়ি শহরের পাশেই জেলা পরিষদের হর্টিকালচার পার্ক৷ লেক ঘেরা এ জায়গাটির মূল আকর্ষণ দোদুল্যমান ঝুলন্ত সেতু৷
নৃ-গোষ্ঠীর বাস
খাগড়াছড়ি জেলায় চাকমা, ত্রিপুরা, মারমাসহ নানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা বাস করেন৷ জেলার সর্বত্রই পর্যটকদের জন্য এ সব নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারা দেখার সুযোগ আছে৷
জুম চাষ
খাগড়াছড়ির পাহাড়ে জুম চাষের জন্য পাহাড় প্রস্তুত করছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা মানুষেরা৷
সবুজ পাহাড়
জুমের ফসলে ছেয়ে গেছে পাহাড়৷ জেলার সর্বত্রই দেখা যায় জুমের ফসলে ভরপুর সবুজ এরকম পাহাড়৷
তামাক চাষ
খাগড়াছড়ির দীঘি-নালায় মাইনি নদীর তীরে তামাক চাষ৷ স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আগাম ঋণপ্রাপ্তি ও ক্ষেত থেকেই বিক্রির সুযোগ থাকায় ব্যাপকহারে তামাক চাষে ঝুঁকছেন খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষকরা৷