চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
৬ নভেম্বর ২০১৩দু'সপ্তাহ আগে লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড আর্সেনালের ‘গানার'-দের হারায় ২-১ গোলে৷ ক্লপ এবার ‘ভেস্টফালেন স্টাডিওন'-এ অনুরূপ কিছু একটা দেখতে চান৷ এবং তাঁর মনোবাসনা পূর্ণ হবার সম্ভাবনা যে উজ্জ্বল, তার একটা কারণ ডর্টমুন্ডের পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভান্ডোভস্কি৷
লন্ডনে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দলের বিরুদ্ধে জয়ের গোলটি করেন লেভান্ডোভস্কি৷ তারপর গত শুক্রবার বুন্ডেসলিগার খেলায় স্টুটগার্টের বিরুদ্ধে ডর্টমুন্ডের ৬-১ জয়ে লেভান্ডোভস্কি একাই করেন – হ্যাটট্রিক সহ – চারটি গোল৷ অবশ্য চার গোল বলতেই মনে পড়ে, গত মরশুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে একাই চারটি গোল করে রেকর্ড করেছিলেন এই রবার্ট লেভান্ডোভস্কি, ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড় হিসেবেই৷
হুল্লোড়ে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ
ইয়ুর্গেন ক্লপ আজ শুধু বুন্ডেসলিগাতেই নয়, ইউরোপীয় ফুটবলে একটি পরিচিত নাম৷ তবে ইউরোপীয় কোচদের তারকামণ্ডলীতে ক্লপের প্রবেশ সদ্য, যদিও তা অনধিকার প্রবেশ নয়৷ অপরদিকে ইয়ুর্গেন ক্লপ সম্পর্কে আর যা কিছু বলা যাক, তাঁর আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে, এ কথা ক্লপের অতি বড় শত্রুও বলবে না কিংবা বলার সাহস পাবে না৷
ক্লপ বিনয়ী মানুষ৷ আর্সেনালের কোচ সম্পর্কে ইংলিশ মিডিয়ার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন: ‘‘আমার কাছে উনি হলেন ‘স্যার' আর্সেন ওয়েঙ্গার৷ আমি ওনার ফ্যান৷ গত দশ বছর ধরে আর্সেনালকে যদি দেখেন, ওরা প্রায় সর্বাঙ্গসুন্দর ফুটবল খেলে আসছে৷ কিন্তু আমরা সবাই জানি যে, আর্সেনাল বহুদিন (২০০৫ সালের এফএ কাপ যাবৎ) কোনো খেতাব জেতেনি৷ আর্সেনালের ফুটবল দর্শন এসেছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের কাছ থেকে৷ আমি সেটা ভালোবাসি, কিন্তু আমি নিজে সেভাবে কোচ করতে পারি না, আমি একটু আলাদা৷ উনি বলটা নিজেদের কাছে রেখে খেলাতে চান, বলটা পাস করে করে – যেন একটা অর্কেস্ট্রা৷ কিন্তু তারা নীরবে বাজায়৷ আমি ভালোবাসি হেভি মেটাল৷ আমি চাই চিৎকার-চেঁচামেচি৷''
জোসে মুরিনিও-র ‘এগারোটি ভুল'
ডর্টমুন্ড এ মরশুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ ‘এফ'-এ প্রায় হেভি মেটাল খেলাই খেলছে, বলা চলে! নাপোলির কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে ২-১ গোলে হারার পর ডর্টমুন্ড নিজেদের মাঠে মার্সাই-কে হারায় ৩-০ গোলে – তারপর আর্সেনালকে তাদের নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে৷ ওদিকে এই বুধবারই জার্মানির শালকে ‘শূন্য-চার' দল যাচ্ছে লন্ডনে চেলসির সঙ্গে খেলতে৷ আগের লেগ-এ চেলসি শালকে-কে হারায় ৩-০ গোলে এবং সেই সুবাদে চেলসি এখন গ্রুপ ‘ই'-র শীর্ষে, যদিও চেলসি, শালকে, উভয় দলই তিনটি করে গেম থেকে ছ'পয়েন্ট নিয়ে বসে আছে৷
চেলসি গত শনিবার সেন্ট জেমস পার্কে নিউক্যাসল ইউনাইটেড-এর কাছে হারে ২-০ গোলে, যার পর কোচ জোসে মুরিনিও আর মুখের আগল রাখেননি৷ বলেছেন: ‘‘আমি এগারোটা ভুল করেছি, এগারোটা ভুল৷ আমার অন্য কোনো এগারোজন খেলোয়াড় বাছা উচিত ছিল, এই এগারোজনকে নয়৷ আমার দল যখন খারাপ খেলে, তখন আমার সেইরকমই মনে হয়৷ আমি রেগেছি কেননা আমি বুঝতে পারছি না, আমার হারলাম কেন৷'' শালকের বিরুদ্ধে খেলায় বেশ কিছু রদবদল হবে বলে শাসানি দিয়েছেন মুরিনিও৷
শালকের প্লেয়াররা গত সপ্তাহেই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ক্লেমেন্স ট্যোনিজ-এর কাছ থেকে শাসানি শুনেছে এবং সে শাসানিতে দৃশ্যত কাজও হয়েছে, তাই গত শনিবার বুন্ডেসলিগার খেলায় তারা হ্যার্থা বার্লিনকে হারায় ২-০ গোলে৷ আরো বড় কথা, সুদীর্ঘ পাঁচটি ম্যাচ বাদে তারা আবার কোনো গোল না খেয়েই খেলা শেষ করতে পেরেছে৷ সেই সঙ্গে জোড়া যায়: এবার তারা বুন্ডেসলিগার অন্য যে কোনো খেলার চেয়ে বেশি মাঠ জুড়ে দৌড়েছে৷ কোচ ইয়েন্স কেলার-ও দলের ডিফেন্ডিং-এ খুশি৷
তবুও সব মিলিয়ে চেলসিকে রোখা যাবে কিনা, বলা শক্ত৷
এসি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)