ক্রসফায়ার
২৪ নভেম্বর ২০১২ঢাকার মিরপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. আক্কাস আলির ছেলে নুর আলম বাবুকে ব়্যাব সদস্যরা ধরে নিয়ে যায় ২০০৯ সালের ১৩ই এপ্রিল৷ দু'দিন পর তার লাশ পাওয়া যায় সবুজবাগ এলাকায়৷ ব়্যাব তখন দাবি করে, সে অপরাধী এবং পালাতে গিয়ে ক্রসফায়ারে নিহত হয়৷
কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দীর্ঘ তদন্তে জানা গেছে বাবু নিরপরাধ ছিল৷ আইউব আলী নামে একজনের অপকর্ম এবং মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ার কারণেই বাবুকে কৌশলে ব়্যাব দিয়ে আটক এবং ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়৷ তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, কথিত ক্রসফায়ারের সময়ে কোন গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি৷ এক পাক্ষিকভাবে গুলি করা হয়েছে৷ তদন্ত শেষে গত ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব়্যাব-৩-এর সে সময়ের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৯ ব়্যাব সদস্য এবং তাদের ৪ সহযোগীর বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দফতরকে মামলা দেয়ার করার নির্দেশ দিয়েছে৷ নিহত বাবুর বাবা মুক্তিযোদ্ধা মো. আক্কাস আলি জানান, পুলিশ সদর দফতর এখনো মামলা করেনি৷
এ নিয়ে পুলিশ সদর দফতরের কোন বক্তব্য জানা না গেলেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মামলার আদেশের একটি কপি তাদেরও দেয়া হয়েছে৷ পুলিশ সদর দফতর কী ব্যবস্থা নেয়, তারা এখন তা দেখার অপেক্ষা আছেন৷ তিনি জানান, সামনের মাসে তাদের কমিশনের বৈঠক আছে সেই বৈঠকে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে৷
এদিকে নিহত বাবুর মা জাহানারা বেগম আজও তার ছেলেকে হারানোর ব্যথা ভুলতে পারেননি৷ তিনি চান তারা ছেলে হত্যার বিচার৷