মোবাইলের ঝুঁকি
২ নভেম্বর ২০১২বাংলাদেশে এখন মোবাইল ফোনের গ্রাহক প্রায় সাড়ে নয় কোটি৷ আর প্রতি মাসে গড়ে ১২ লাখের বেশি হ্যান্ডসেট আমদানি করা হয় বিদেশ থেকে৷ কিন্তু কি ক্রেতা, কি বিক্রেতা তাঁদের কেউই মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেটের রেডিয়েশন এবং তার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন নন৷
হ্যান্ডসেটের বিকিরণের মাত্রা মাপার আন্তর্জাতিক পরিমাপককে বলা হয় ‘স্পেসিফিক অ্যাবসর্পশন রেট বা এসএআর৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডায় এর সর্বোচ্চ মাত্রা ১.৬ কিলোওয়াট৷ আর ইউরোপে ২ কিলোওয়াট৷ হ্যান্ডসেটে এর চেয়ে বেশি রেডিয়েশন হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে ডয়চে ভেলেকে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরজাহান সরকার৷ আর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদারও জানান এ ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ঝুঁকির কথা৷
কিন্তু অবাক করার মতো ব্যাপার হলো যে, বাংলাদেশে এই রেডিয়েশনের মাত্রা বেঁধে দেয়া নেই৷ আর সেখানে তা পরীক্ষা করারও কোনো ব্যবস্থা নেই৷ বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলিম ডয়চে ভেলেকে জানান, তাঁরা চান এখানে রেডিয়েশন পরিমাপের একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হোক৷
এই অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন অধ্যাপক ড. নূরজাহান সরকার৷ আর নীতিমালা প্রণয়নের দাবি করেন অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার৷
বাংলাদেশে প্রতিবছর বৈধভাবে মোবাইল ফোনের দেড়কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি করা হয়৷ আর অবৈধভাবে আসে আরো ২৫ লাখ সেট৷ বৈধ, অবৈধ কোনো ধরনের সেটেই রেডিয়েশনের মাত্রা লেখা থাকে না৷ অথচ আন্তর্জাতিক আইনে এটা কিন্তু বাধ্যতামূলক৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ