1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যানসারেও সাহায্য করে স্পোর্টস

২২ মার্চ ২০১৭

স্পোর্টস বলতে বোঝায় দৌড়ঝাঁপ, ট্রেনিং – ক্রীড়াবিদ না হয়েও মানুষ যা করতে পারে ও করে থাকে৷ কিন্তু ক্যানসার পেশেন্ট, এমনকি যাদের কেমোথেরাপি চলেছে,তাদের ক্ষেত্রেও ট্রেনিং অসম্ভব উপকারী৷

https://p.dw.com/p/2ZhKx
20.03.2012 DW Fit und Gesund f&t Sport und Krebs
ছবি: DW

ক্যানসার সেরে যাবে খেলাধুলাতেই

স্পোর্ট, অর্থাৎ খেলাধুলা কীভাবে ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, দক্ষিণ জার্মানির উল্ম শহরের ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকে তা নিয়ে গবেষণা চলছে৷ ক্যানসারের রোগীরা সরাসরি ক্লিনিক থেকে ট্রেনিংয়ের জন্য আসেন, এমনকি কেমোথেরাপি চলার সময়, যখন অনেকেই মানসিকভাবে দমে যান৷

উল্মের ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকের ক্রীড়াবিজ্ঞানী স্টেফানি অটো প্রত্যেক রোগীর জন্য আলাদা ট্রেনিং প্রোগাম প্রস্তুত করেন৷ স্টেফানি বলেন, ‘‘বিশেষ করে কেমোথেরাপির সময় খেলাধুলা করাটা খুবই জরুরি, যাতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও কম হয়৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীদের খেলাধুলার ক্ষমতা অটুটই থাকে, কোনো কোনো সময় হয়ত সামান্য কমে যায়৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো, তাদের ফিট থাকা, যারা দিনের কাজকর্মগুলো ঠিকমতো চালিয়ে যেতে পারেন৷’’

এককালে ক্যানসার রোগীদের বিছানায় শুয়ে থাকতে বলা হতো৷ আজ বলা হয়, যত পারো হাঁটাচলা করো৷ ট্রেনিংয়ের সময় রোগীদের স্ট্রেস হর্মোন কমে যায়, তাঁরা অনেক কিছু করতে পারেন ও তাঁদের মন ভালো হয়ে যায়৷ এ ছাড়া স্পোর্টস শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, মেটাবলিজমকে সক্রিয় করে, এছাড়া শরীরের বৃদ্ধির বিশেষ বিশেষ উপাদান ও বিশেষ বিশেষ হর্মোন বাড়িয়ে দেয়৷ যেহেতু কেমোথেরাপি সারা শরীরকে দুর্বল করে, তাই পেশির বৃদ্ধিও প্রয়োজন৷

গবেষণায় যা দেখা গেছে

ট্রেনিংয়ে কেমন কাজ হচ্ছে, তা দেখার জন্য ক্রীড়াবিজ্ঞানীরা স্পোর্টথেরাপির সূচনায় ও শেষে সরাসরি রোগীর পেশি থেকে টিস্যুর নমুনা নেন৷ পরীক্ষাগারে পেশির কোষগুলোকে বিশ্লেষণ করে দেখা হয়, কী ধরনের ট্রেনিংয়ে মেটাবলিজমের ক্রিয়া ও পেশির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হয় – এবং এ ধরনের পরিবর্তনের কারণই বা কী৷

উল্মের ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকের স্পোর্টস ফিজিসিয়ান প্রফেসর ইয়ুর্গেন স্টাইনাকার বললেন, ‘‘গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্পোর্ট থেরাপি ব্রেস্ট ক্যানসার, ক্যানসার অফ দ্য বাওয়েলস বা প্রস্টেট ক্যানসারের ‘রিল্যাপ্স’ করার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় – অর্থাৎ এর প্রভাব কেমোথেরাপির সমান৷ কেমোথেরাপি বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, কিন্তু দু’টোকে মিলিয়ে দেওয়া সম্ভব, যাতে নতুন করে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা কমানো যায়৷’’

‘ক্যানসারের বিরুদ্ধে রোয়িং’ প্রকল্পে স্পোর্টস মেডিসিনের লক্ষ্য হলো, রোগীরা যাতে তাদের থেরাপি শেষ হবার পরও সক্রিয় থাকেন৷ সকলেরই ইচ্ছা, তারা যেন সুস্থ থাকেন, রোগ যেন আবার ফিরে না আসে৷ এছাড়া অন্যদের সঙ্গে ট্রেনিং করায় তাদের মনমেজাজও ভালো থাকে৷

ক্লাউস ডার্টমান/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান