কোকোর মৃত্যু এবং মিডিয়া
২৭ জানুয়ারি ২০১৫‘কোকোর মৃত্যু: মিডিয়ায় মানবিকতা, অমানবিকতা-' এই শিরোনামে সামহয়্যারইন ব্লগে সামছুল কবির মিলাদ লিখেছেন, ‘‘ নিজের পরিবারের সব সদস্য থেকে হাজার মাইল দূরে থাকা খালেদা জিয়া গত কিছুদিন ধরে বিভিন্নভাবে যে নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে আছেন তার মধ্যে প্রিয় ছোট ছেলেকে হারিয়ে তার মানসিক অবস্থা এখন কতটা বিধ্বস্ত – এমন কোনো মানবিক আবেদনময়ী রিপোর্ট রবিবার এবং সোমবারের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোতে চোখে পড়েনি৷ আমি রবিবারের প্রথম আলো, যুগান্তর, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, সমকাল, মানবজমিন, ইনকিলাব, ডেইলি স্টার ঘেঁটেছি৷ দুই/তিনটা ব্যতিক্রম বাদে বলতে গেলে কোকোর মৃত্যুতে কোকো বা খালেদা জিয়া কাউকে নিয়েই কোনো পত্রিকায় কোনো মানবিক আবেদন সম্পন্ন প্রতিবেদন নেই৷''
তিনি মনে করেন, ‘‘এক অবরুদ্ধ মায়ের সন্তান হারানো, ভিসা জটিলতায় ছোট ভাইকে তারেক রহমানের দেখতে যেতে না পারা, মা-ছেলের মধ্যে সর্বশেষ কথা-স্মৃতি, দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কোকোর অবদান, নিজের সন্তানের মৃত্যুতেও বৃহত্তর স্বার্থের আন্দোলন থেকে খালেদা জিয়ার পিছপা না হওয়ার মতো মানসিক দৃঢ়তা ইত্যাদি অনেক কিছু নিয়ে চাইলে ফিচার বা মানবিক আবেদন সম্পন্ন প্রতিবেদন তৈরি করা যেত৷ এবং জোর করেই বলা যায়, ভুক্তভোগী খালেদা জিয়া না হয়ে সমপর্যায়ের অন্য কেউ হলে এসবের চেয়ে অনেক বেশি কিছু করতো এদেশের মিডিয়া৷''
সামছুল কবির মিলাদ মিডিয়ার সমালোচনা করলেও সামহয়্যারইন ব্লগেই মেহেদি হাসান কিন্তু সমালোচনা করেছেন বিএনপির৷ তাঁর লেখার শিরোনাম, ‘‘বিএনপিকে রাজনীতি শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে, সাথে শিষ্টাচার বা ভদ্রতা''৷
সেখানে খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিএনপি যদি রাজনীতি জানত তবে এতবড় ভুল হতনা৷ আমরা বাঙালি কি আর সেই দিনে আছি? ... বিএনপি যে ...কাজটি করেছে তার খেসারত দিতে হবে৷ প্রধানমন্ত্রী কোনো ছোট ব্যক্তিত্ব নন, তিনি দেশের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব, সম্মানিত ও ক্ষমতাধর৷ সেই ব্যক্তিত্বকে গেটে না ঢুকতে দিয়ে অপমান করা সম্ভবত পৃথিবীর মধ্যে বিরল ঘটনা...৷''
মহাভারতের দৃষ্টান্ত তুলে বিএনপির এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে মেহেদি হাসান তাঁর লেখা শেষ করেছেন এভাবে, ‘‘রাজনীতির জবাব রাজনীতিতেই দিতে হয়৷ রাজনীতি বড়ই কৌশলের বিষয়৷ .. বড়ই পরিতাপের বিষয় যে বিএনপিতে ভালো রাজনীতিবীদ নেই৷...''
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন