কৃষ্ণসাগরে ঝুলছে বিমান
তুরস্কের বিমান সংস্থা পেগাসাসের একটি বিমান কৃষ্ণসাগরের গা ঘেঁসে তৈরি ট্রাবজোন বিমানবন্দরে নামতে গিয়ে রানওয়ের বাইরে বেরিয়ে যায়৷ অল্পের জন্য বিমানটি সমুদ্রে পড়েনি৷ বিমানটির দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ার দৃশ্য দেখুন ছবিঘরে৷
স্বাভাবিক টেকঅফ, নাটকীয় ল্যান্ডিং
আঙ্কারা থেকে টেকঅফ করেছিল পেগাসাস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট৷ টেকঅফের সময় কোনোরকম যান্ত্রিক গোলোযোগ টের পাওয়া যায়নি৷ কিন্তু ল্যান্ডিংয়ের সময় ঘটে বিপত্তি৷ ট্রাবজোন বিমানবন্দরটি একেবারে সমুদ্রের ধারে৷ সৈকত বরাবর বিস্তৃত রানওয়ে৷ রাতে সেখানে ল্যান্ড করার সময় বিমানের চাকা স্কিড করে৷ রানওয়ে ছেড়ে বিমানটি টলে যায় সমুদ্রের দিকে৷ ঝুলে পড়ে কাদা-বালির উপর৷ আর সামান্য এগোলেই সমুদ্রে গিয়ে পড়ত বিমানটি৷
দুর্ঘটনার তদন্ত
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে যাচ্ছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ট্রাবজোনের গভর্নর ইউসুল ইয়াভুজ জানিয়েছেন, চাকা স্কিড করার সমস্ত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ আশঙ্কা, ল্যান্ডিংয়ের সময় পাখি বা ওই জাতীয় কিছুর সঙ্গে বিমানটির একটি সংঘর্ষ হয়৷
যাত্রীরা সুস্থ
তুরস্কের গণমাধ্যম থেকে যে ছবি পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা গেছে, আটকে যাওয়া বিমানটি থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে৷ আশঙ্কা, ঘটনার পর আগুনও ধরে গিয়েছিল বিমানের ইঞ্জিনে৷ কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও যাত্রীরা সুরক্ষিতই ছিলেন৷ ওই বিমানের এক যাত্রী পরে সাংবাদিকদের বলেন, এভাবে বেঁচে যাওয়াটা আসলে ‘মিরাকল’৷
ভয়, আতঙ্ক, মৃত্যুভয়
ফাতমা গরদু ছিলেন ওই বিমানে৷ তুরস্কের দোগান নিউজকে তিনি বলেন, বিমানটি রানওয়েতে স্কিড করার পরেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ রানওয়ে ছেড়ে বিমান তখন ক্রমশ সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ একসময় বিমানটির নাক গিয়ে আটকে যায় সমুদ্রপারের কাদাবালিতে৷ বিমানের পিছনের অংশ তখন শূন্যে ঝুলছে৷
বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমানবন্দর
ঘটনাটি ঘটার পর বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রাবজোন বিমানবন্দর৷ বিমানটিকে টেনে রানওয়েতে ওঠানোর চেষ্টা চালাতে থাকেন বিমানবন্দরের কর্মীরা৷ শনিবার রাতভর সেই কাজ চলে৷ রবিবার সকাল থেকে বিমান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়৷