1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিশোরীকে ধর্ষণে ধর্ষণচেষ্টার মামলা, পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

২৯ এপ্রিল ২০২২

ময়মনসিংহে কিশোরী ফুটবলারকে ধর্ষণের অভিযোগ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে৷ অথচ মামলা হয় ধর্ষণচেষ্টার৷ অবশেষে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হলো তদন্ত কর্মকর্তাকে৷

https://p.dw.com/p/4AdEA
প্রতীকী ছবিছবি: Karl-Josef Hildenbrand/dpa/picture alliance

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়৷ গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ওই কিশোরী ফুটলার নান্দাইলের শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের ছাত্রী। তাকে গত শুক্রবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে জেলার নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ফকিরের বিরুদ্ধে। কিশোরী আরো জানায়, সম্প্রতি ফয়সালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ফয়সালের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। কলেজে যাওয়া-আসার সময় ফয়সাল তার খোঁজ-খবর নিতেন।

কিশোরী আরো বলে, ‘‘শুক্রবার উপবৃত্তির ফাইলে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা বলে ফয়সাল আমাকে কলেজে ডেকে নেন। কলেজে গেলে ফয়সাল আমাকে মুখ চেপে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও করে রাখেন। এতে সহযোগিতা করেন তার সহযোগী আলামিন ও অজ্ঞাত আরেকজন। মাটিতে ফেলে আলামিন আমার পা ধরে রাখে। ঘটনা কাউকে বললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন ফয়সাল। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আমার পরিবার।’’

পরদিন শনিবার কিশোরী থানায় ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ দিলেও পুলিশ সেই মামলা ‘ধর্ষণচেষ্টার’ মামলা বলে নথিবদ্ধ করে। তবে এর জন্য থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেখানে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা কী দায়িত্ব অবহেলা করেছেন তা পরিষ্কার করেনি পুলিশ।

কিশোরীর বক্তব্য, ‘‘ওসি স্যারকে সবকিছু খুলে বলার পর তারা ‘ধর্ষণ’ মামলার বদলে ‘ধর্ষণচেষ্টার’ মামলা নিয়েছে। পুলিশ আমাদের সঙ্গে অবিচার করেছে। তারা এটা কেন করেছে বুঝতে পারছি না।’’

জেলার পুলিশ সুপার আহমার উজ জামান বলেন, ‘‘দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠার কারণেই তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর ওসির বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ওসি দোষী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটির তদন্ত চলছে। ভিকটিমের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পেলে সেই অনুযায়ী অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’’

পুলিশের কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

এএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য