কাশ্মীরে ‘স্টিকি বম্ব’, ভয়ংকর চিন্তায় নিরাপত্তা কর্তারা
৪ মার্চ ২০২১সম্প্রতি কাশ্মীরে তল্লাশি চালাবার সময় বেশ কয়েক ডজন ‘স্টিকি বম্ব’ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী৷ আর তাতেই পুলিশ ও আধা সেনা কর্তারা রীতিমতো উদ্বিগ্ন৷ কারণ, এই ‘স্টিকি বম্ব’-এর সাহায্যেই আফগানিস্তানে একের পর এক ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা৷ সেই বোমা কাশ্মীরে পাওয়ার অর্থ, চরমপন্থি সংগঠনগুলি এবার সেখানেও ‘স্টিকি বম্ব’ ব্যবহার করতে চাইছে৷
‘স্টিকি বম্ব’ হলো, বোমার মধ্যে চুম্বক লাগানো৷ ফলে তা সহজেই গাড়ির সঙ্গে আটকে দেয়া যায়৷ এরপর রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো যায়৷ কাবুল সহ আফগানিস্তানের অনেক শহরেই এই ভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রচুর মানুষকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা৷
কাশ্মীরের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ শর্মা ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘‘নিঃসন্দেহে এই বোমা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ তাই নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে৷’’ তার দাবি, ‘‘এই বোমাগুলি পাকিস্তান থেকে এসেছে৷ দ্য রেসিসটেন্স ফ্রন্ট নামে একটি চরমপন্থি সংগঠনের হাতে তা তুলে দেয়া হয়েছে৷’’ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই সংগঠনটি তৈরি হয়৷ রাজেশ শর্মার দাবি, ‘‘এগুলি স্থানীয়ভাবে তৈরি নয়৷ কোনো অস্ত্র কারখানায় তৈরি হয়েছে এই ‘স্টিকি বম্ব’৷’’
জম্মুর আইজি মুকেশ সিং ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘‘তালেবান এই ধরনের বোমা ব্যবহার করে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি৷ তাই এখনই বলা সম্ভব নয়, বোমাগুলি কোথা থেকে এসেছে৷’’
শ্রীনগরের বাসিন্দা জাভেদ আহমেদ ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ‘স্টিকি বম্ব’-এর খবরে তিনিও উদ্বিগ্ন৷ কারণ, এই ধরনের বিস্ফোরণে শুধু যে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষতি হবে তা নয়, সাধারণ মানুষও মারা যাবেন৷ ফলে ক্ষতি দুই তরফেরই হবে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা অফিসার ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘‘এই বোমা কাশ্মীরে ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাতে পারে। আক্রকমণকারীরা সহজেই এই বোমা নির্দিষ্ট জায়গায় বা গাড়িতে রেখে আসতে পারবে৷ তারপর বিস্ফোরণও ঘটাতে পারবে৷ তাই এর মোকাবিলা করা এখন নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷’’
সামান লতিফ/জিএইচ/এসজি