1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান

২ নভেম্বর ২০২০

পুলিশের সঙ্গে লড়াইয়ে কাশ্মীরে নিহত হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান। বড় সাফল্য, দাবি কাশ্মীর পুলিশের।

https://p.dw.com/p/3kk7J
ছবি: Saqib Majeed/ZUMAPRESS/picture alliance

গত মে মাসে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই কাশ্মীরে নিহত হয়েছিলেন হিজবুল কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকু। এ বার মৃত্যু হলো হিজবুল প্রধান সাইফুল্লাহের। শ্রীনগরের অদূরে একটি গ্রামে রোববার দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁর সঙ্গে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই চলে। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Indien Kaschmir-Konflikt | Militär in Srinagar getötet
ছবি: Saqib Majeed/ZUMAPRESS/picture alliance

সাইফুল্লাহ দীর্ঘ দিন ধরেই নিরাপত্তারক্ষীদের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে ছিলেন। গত এক বছর ধরে কাশ্মীরের প্রায় সমস্ত নাশকতার ঘটনার সঙ্গেই তাঁর নাম যুক্ত ছিল বলে পুলিশের দাবি। গোয়েন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর খবরাখবর রাখছিলেন। এত দিন দক্ষিণ কাশ্মীরে ছিলেন। দক্ষিণ কাশ্মীর কোনো কোনো এলাকায় পুলিশের পক্ষে অপারেশন চালানোও মুশকিল। সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়। ফলে এর আগে সাইফুল্লাহের অবস্থান জানা সত্ত্বেও পুলিশ অপারেশন চালাতে পারেনি। কাশ্মীর পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অফিসার রোববার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তাঁদের কাছে খবর পৌঁছয় যে শ্রীনগরের অদূরে একটি বাড়িতে সাইফুল্লাহ এসেছেন। তখনই অপারেশনের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে ফেলে পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনী।

রোববার সকালে ওই গ্রামটি ঘিরে ফেলা হয়। যে বাড়িতে সাইফুল্লাহ ছিলেন সেই বাড়িটিও ঘিরে ফেলে পুলিশ। তখনই ভিতর থেকে গুলি চালাতে শুরু করেন সাইফুল্লাহের সমর্থকরা। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীও। দীর্ঘ গুলি লড়াই চলার পরে বাড়ির ভিতর থেকে সাইফুল্লাহের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় গ্রেফতারও করা হয়েছে ওই বাড়ি থেকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিংহ সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই আমরা সাইফুল্লাহকে খুঁজছিলাম। এটা এক বড় সাফল্য। তবে হিজবুল মুজাহিদিনের তরফে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

ঘটনার পর সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। অভিযোগ, স্থানীয় যুবকরা পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। তবে বিক্ষোভ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

এর আগে গত মে মাসে হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুকে পরাজিত করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে তাঁরও মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেই কাশ্মীরে হিজবুলের প্রধানের দায়িত্ব নেন সাইফুল্লাহ। গত কয়েক মাসে একাধিক নিরাপত্তাকর্মী এবং পুলিশ অফিসারের উপর হামলা হয়েছে কাশ্মীরে। হামলা হয়েছে একাধিক বিজেপি নেতার উপরেও। নিহত হয়েছেন অনেকে। প্রায় সবকটি ঘটনার সঙ্গেই সাইফুল্লাহের সংযোগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

সাইফুল্লাহের মৃত্যু কি কাশ্মীরে সংঘর্ষ কমাবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এই ঘটনায় উত্তেজনা আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে। হিজবুল মুজাহিদিন এর বদলা নেওয়ার চেষ্টা করবে। তার জেরে অশান্তি আরো ছড়াতে পারে।

এসজি/জিএইচ (এএনআই, পিটিআই)