কাশ্মীর প্রশ্নে আরব বন্ধুদের হারানোর ঝুঁকিতে পাকিস্তান
২৪ আগস্ট ২০২০এ মাসের শুরুর দিকে ৫৭ জাতির ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি-র সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, ‘‘আমি ওআইসি-কে আবার বলছি, আমরা চাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটা সম্মেলন হোক৷ আপনাদের পক্ষে তা সম্ভব না হলে কাশ্মীর প্রশ্নে যে দেশগুলো পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত, তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য হবো৷’’
এমন মন্তব্যে অবশ্য পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ কোনো সুবিধা হয়নি৷ বরং ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষুব্ধ হয়েছে সৌদি আরব এবং তাই ইতিমধ্যে তেল ঋণ সংক্রান্ত ৩২ লাখ ডলারের অফার স্থগিত করে আগের পাওনা ৩০০ কোটি ডলার পরিশোধের জন্য চাপও দিতে শুরু করেছে পাকিস্তানকে৷
তবে পরিস্থিতি যে ভালো নয় তা বুঝতে পেরেছে ইমরান খান সরকার৷ দৈনিক ডনসহ পাকিস্তানের গণমাধ্যমের একাংশ মনে করে, পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়াকে রিয়াদে পাঠানো হয়েছে৷
কাশ্মীর প্রশ্নে কী চায় পাকিস্তান?
ওয়াশিংটন ভিত্তিক উড্রো উইলসন সেন্টার ফর স্কলার্স -এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মিশায়েল কুগালমান মনে করেন, কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তান বহির্বিশ্বে যেমন সমর্থন আশা করেছিল তা একেবারেই পায়নি৷ অন্যদিকে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক কিছু কাজের সমালোচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বিশেষ করে জম্মু এবং কাশ্মীরকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র উন্মোচনের মাঝে দেশে সাধারণ মানুষের সাময়িক হাততালি ছাড়া আর কিছু প্রাপ্তির আশা নেই বলেও মনে করেন তারা৷
কে আছে, কে নেই?
ইসলামাবাদের কায়েদ-এ আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক রাজা কায়সার আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে কাশ্মীর প্রশ্নে আক্রমণাত্মক কূটনীতিতে আস্থা রাখা উচিত পাকিস্তানের৷ অথচ এ সময়েও চীন, মালয়েশিয়া আর তুরস্ক ছাড়া আরো কাউকে পাশে পাচ্ছে না পাকিস্তান৷ বরং জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ভালি নাসির মনে করেন, সৌদি আরবের কাছে ভারত হলো বড় এক বাণিজ্যিক বন্ধু, ফলে তারা চায় না দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হোক৷
হারুন জানজুয়া/ এসিবি
৪ মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...