1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীর নিয়ে নীতিবদল তালেবানের?

১৮ আগস্ট ২০২১

কাশ্মীর নিয়ে কি নীতিবদল করছে তালেবান? তারা কি আগের অবস্থান থেকে সরে আসছে?

https://p.dw.com/p/3z6Y6
কাশ্মীর
ছবি: imago images/Hindustan Times

কাবুলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার পর তালেবান জানিয়ে দিল, আফগানিস্তান কোনো দেশের কাছে বিপদের কারণ হবে না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ''আমরা ভিতরে ও বাইরে কোনো শত্রু চাই না।'' আর সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, তালেবান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর বিষয়ে তারা নাক গলাবে না। বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক ও অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাশ্মীরের দিকে তাদের কোনো নজর নেই।

মুজাহিদ জানিয়েছেন, তারা কারো সঙ্গেই শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি করতে চান না। এর আগে মোল্লা ওমরের শাসনের সময় কাশ্মীর নিয়ে তালেবান সোচ্চার ছিল।  তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করেছে। তারা কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করারও তীব্র সমালোচনা করেছে। ১৯৯৯ সালে কান্দাহারে ভারতীয় বিমান ছিনতাইকারীদের আশ্রয় দেয় তারা।

সেই তালেবান এখন আবার আফগানিস্তান দখল করার পর জানাচ্ছে যে, তারা তাদের কার্যকলাপ আফগানিস্তানেই সীমাবদ্ধ রাখবে। বাইরের দিকে তাকাবে না।

কোনো সন্দেহ নেই, তালেবান একটা বার্তা দিতে চেয়েছে। সেই বার্তাটি হলো, তারা কাশ্মীর সহ কোনো বিতর্কিত বিষয়ে আপাতত নাক গলাতে চায় না। কোনো দেশের সঙ্গে বিতর্কে জড়াতে চায় না। কূটনীতিকদের মতে, তারা আগে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়।

প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তার মতে, গতবারের তুলনায় এবার তালেবান তাদের কৌশল বদল করেছে। তারা এবার আগে সব দেশের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেতে চায়। ডয়চে ভেলেকে শরদ বলেছেন, ''এই স্বীকৃতি পেলে তালেবান শাসনের ভিত্তি শক্ত হবে।''

এখনো পর্যন্ত রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্কের মতো দেশগুলি কাবুলে দূতাবাস খোলা রেখেছে। ভারত দূতাবাসের সব কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। পশ্চিমা দেশগুলিও তাই করেছে। অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি সহ অনেক দেশই তালেবানের শাসনকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারা আগে নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি চায় যে, তালেবান আফগানিস্তানের জমিকে সন্ত্রাসবাদের কাজে ব্যবহার করতে দেবে না।

ভারতীয় কূটনীতিকদের সব চেয়ে বড় মাথাব্যথা কাশ্মীর নিয়ে। গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে তারা কাশ্মীর প্রসঙ্গে তালেবানের মনোভাবকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে একই সঙ্গে তারা এখনো পুরোপুরি নিঃসংশয় হতে পারছেন না। তাই তারা 'ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ' নীতি নিয়ে চলার পক্ষপাতী।

জিএইচ/এসজি (এএনআই, এপি, আল জাজিরা)