1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার্বন নির্গমনে রেকর্ড

৩০ এপ্রিল ২০১৩

আইপিসিসি-র সূত্র অনুযায়ী পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা রেকর্ড ৪০০ পিপিএম ছুঁতে চলেছে৷ ফলে তাপমাত্রা বাড়ার গড় হারও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ যার পরিণাম হতে পারে ভয়ঙ্কর৷

https://p.dw.com/p/18PAO
ছবি: Reuters

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা যে বেড়ে চলেছে, এ নিয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে তার পরিমাণ যে এবার এক ভয়ঙ্কর মাত্রা ছুঁতে চলেছে, তা জানা ছিল না৷

সোমবার জাতিসংঘের জলবায়ু সংগঠন আইপিসিসি-র প্রধান ক্রিস্টিনা ফিগেরেস বলেন, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব ৩৯৯.৭২ পিপিএম, অর্থাৎ পার্টস পার মিলিয়ন৷ গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপে মওনা লোয়া অবজারভেটরিতে এই পরিমাপ করা হয়েছে৷ অর্থাৎ শীঘ্রই তা ৪০০ পিপিএম অতিক্রম করবে৷ মনে রাখতে হবে, ১৯৫৮ সালের মার্চ মাসে সেখানে যখন প্রথম বারের মতো পরিমাপের সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব ছিল ৩১৬ পিপিএম৷

UN-Klimakonferenz in Bonn Christiana Figueres
আইপিসিসি-র প্রধান ক্রিস্টিনা ফিগেরেসছবি: picture-alliance/dpa

৪০০ পিপিএম – এই সংখ্যার একটা বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে৷ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়ার হার ২ থেকে ২,৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে হলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ৪০০ পিপিএম-এর মধ্যে রাখতে হবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন৷ আইপিসিসি গোটা বিশ্বের নীতি নির্ধারকদের এই সতর্কতাবাণী দিয়ে আসছে৷ কিন্তু তাতে যে কাজ হয় নি, কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সাম্প্রতিক প্রায় রেকর্ড-ছোঁয়া মাত্রাই তা দেখিয়ে দিচ্ছে৷ এই অবস্থায় আবার সরকার ও প্রশাসনকে নড়েচড়ে বসা উচিত বলে মনে করেন ফিগেরেস৷ বন শহরে সোমবার এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা কমিয়ে আনতে গত বছর ডিসেম্বর মাসে কাতারে এক দফা আলোচনায় কোনো ফল পাওয়া যায় নি৷ তারপর বন শহরে বসেছে পরবর্তী বৈঠক৷ ২০১৫ সালের মধ্যে নতুন এক জলবায়ু চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে, যা ২০২০ সালের মধ্যে কার্যকর হওয়ার কথা৷ তারই প্রস্তুতি হিসেবে কার্বন-ডাই-অস্কাইডের মাত্রা নিয়ে আলোচনা করতে হবে৷ একদিকে কার্বন নির্গমনের মাত্রা, অন্যদিকে কড়া বিধিনিয়ম – দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেই গড় তাপমাত্রা বাড়ার হার দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে – এমনটাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷

এসবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য