1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার হাতে দিল্লি, জানা যাবে ১১ ফেব্রুয়ারি

৬ জানুয়ারি ২০২০

দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি, ফলাফল তিনদিন পর ১১ তারিখ৷ তখনই বোঝা যাবে, কার কাছে থাকবে রাজধানীর শাসনভার, মোদী-শাহের বিজেপি না কি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ-এর হাতে৷

https://p.dw.com/p/3VlzW
I
ছবি: Reuters/A. Mukherjee

নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দিল্লি বিধানসভা দখলের সাধ এখনও অপূর্ণ৷ পাঁচ বছর আগে তাঁদের গোহারা হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ৭০ এর মধ্যে ৬৭ আসনে জিতে৷ এই অভূতপূর্ব জয়ের পর কেজরিওয়াল-ম্যাজিক আর অন্য কোনও রাজ্যে দেখা যায়নি৷  অন্য রাজ্যে বিজেপি বা কংগ্রেসের কাছে লড়াইয়ে হেরে গেলেও দিল্লির চৌহদ্দিতে কেজরিওয়াল এখনও বড় শক্তি৷ লোকসভায় সাতের মধ্যে সাতটি আসনে জিতেছিলেন মোদী-শাহ৷ বিধানসভার লড়াইটা অন্য৷ সেই ভোট হবে ৮ ফেব্রুয়ারি এবং লড়াইয়ের ফল জানা যাবে ১১ তারিখ৷

গত পাঁচ বছরে মোদী-শাহের বিজেপি বনাম অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ এর লড়াই বারবার সামনে এসেছে৷ একসময় প্রায় প্রতিদিন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত দেড়-দু বছর ধরে কৌশল বদলেছেন৷

তিনি নিজের হাতে যে সীমীত ক্ষমতা আছে, তা কাজে লাগিয়ে দিল্লির সরকারি স্কুল, সরকারি হাসপাতালের হাল ফিরিয়েছেন, প্রতিটি এলাকায় মহল্লা ক্লিনিক খুলেছেন৷ তবে তাঁর ভোটের মাস্টারস্ট্রোক হল, ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল ফ্রি করে দেওয়া৷ ফলে এই শীতের মরসুমে প্রচুর দিল্লিবাসীকে বিদ্যুতের জন্য কোনও পয়সা খরচ করতে হচ্ছে না৷ জলের মাসুলও কার্যত শূণ্য করে দিয়েছেন কেজরিওয়াল৷ তার জোরেই তিনি জিততে চান৷ উল্টোদিকে বিজেপি মোদীকে সামনে রেখে সিএএ ও এনআরসি নিয়ে প্রচার চালিয়ে দিল্লি দখল করতে চাইছে৷ তৃতীয় পক্ষ কংগ্রেস ময়দানে আছে ঠিকই, কিন্তু তাঁদের শক্তি ক্রমশ কমছে৷ তারা গতবার একটা আসনেও জেতেনি৷ এবার জিতবে কি না, সেটাও প্রশ্ন৷

জিএইচ/এসজি(এনডিটিভি)