কাবুল হামলা: আইএস-এর দায় স্বীকার
২৮ ডিসেম্বর ২০১৭দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র নাসরাত রাহিমি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে৷
সংখ্যালঘু শিয়াদের একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও একটি সংবাদমাধ্যমের কার্যালয় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তবে রাহিমি মনে করছেন, হামলার মূল লক্ষ্য ছিল শিয়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি৷ হামলার সময় সেখানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান দখলের ৩৮তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, বলে জানান তিনি৷
এদিকে হামলায় আক্রান্ত ‘আফগান ভয়েস’ সংবাদ সংস্থার এক সাংবাদিক সৈয়দ আব্বাস হুসেইনি তাঁর এক সহকর্মীর নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন৷ হামলাস্থলটি কাবুলের পশ্চিম অবস্থিত৷ ঐ এলাকায় অনেক শিয়া বাস করেন৷
ঘটনার পরপরই তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ হামলার সঙ্গে জড়িত না থাকার কথা টুইটারে জানিয়েছেন৷ অন্য কোনো গোষ্ঠী এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি৷
কয়েকদিন আগে কাবুলে গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়ের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয়জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান৷ তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল৷
সাম্প্রতিক সময়ে এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে৷ ২০১৫ সালে প্রথম তাদের আফগানিস্তানে দেখা গিয়েছিল৷
তালেবানের পাশাপাশি আইএস এর উপস্থিতির কারণে কাবুলে সাধারণ মানুষের জীবন চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে৷ মে মাসের ৩১ তারিখে কাবুলের কূটনীতিক এলাকায় এক ট্রাক বোমা হামলায় প্রায় দেড়শ’ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ আহত হয়েছিলেন প্রায় চারশ' জন৷ হতাহতদের বেশিরভাগই ছিলেন সাধারণ মানুষ৷
দেশটির গণমাধ্যমের উপর এর আগেও জঙ্গিদের হামলা হয়েছিল৷ নভেম্বরে শামসাদ টিভির কার্যালয়ে চালানো হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছিলেন৷ আইএস ঐ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)
৩১ মে’র হামলা নিয়ে ছবিঘরটি দেখুন...