1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাতারের সঙ্গে ৫ দেশের সম্পর্ক ছিন্ন

৫ জুন ২০১৭

তিন নিকটতম প্রতিবেশীসহ পাঁচটি আরব দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে৷ দেশগুলো হচ্ছে, সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন৷

https://p.dw.com/p/2e8Hb
ছবি: Getty Images

সোমবার সকালে ৫ আরব দেশ কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধের কথাও জানিয়েছে৷ তারা বলছে, সন্ত্রাস এবং উগ্রতার বিপদ থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতেই তাদেরকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে৷ পারস্য উপ-সাগরে অবস্থিত দেশ কাতারের সঙ্গে একমাত্র সৌদি আরবের স্থল সীমান্ত রয়েছে৷ সাগরে সবচেয়ে নিকট প্রতিবেশি বাহরাইন৷ জলপথে আরেক নিকটতম প্রতিবেশি সংযুক্ত আরব আমিরাত৷

কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারী দেশগুলো জল-স্থল-আকাশ পথে সব যোগাযোগও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে৷ এই ঘোষণার পরপরই ফ্লাই দুবাই এবং এমিরেটসের মতো বিমান সংস্থাগুলো কাতারে তাদের ফ্লাইট বাতিল করতে শুরু করে৷ অন্যদিকে  কাতার এয়ারওয়েজও সৌদি আরবে তাদের সকল ফ্লাইট বাতিল করেছে৷ সৌদি সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটি কার্যত স্থলপথে বাকি দুনিয়া থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল৷

সৌদি প্রেস এজেন্সি বলছে, কাতারের প্রতি একই পদক্ষেপ নিতে দেশগুলো তাদের সব ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ এবং কোম্পানির প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে৷ ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে কাতারও ছিল৷ সেই জোট থেকেও কাতারের বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব৷

প্রতিবেশীদের এসব সিদ্ধান্তে কাতারে বসবাসরতদের স্বাভাবিক জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি করেছে দেশটি৷ তবে একইসঙ্গে সিদ্ধান্তকে ‘অবিচার' হিসাবে উল্লেখ করে দেশটি বলছে, যে অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নাই৷

কাতারকে বয়কটের প্রথম ঘোষণাটি আসে সৌদি আরব থেকে৷ এরপর অপরাপর দেশগুলোও একই ঘোষণা দেয়৷ বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কাতারের রাজধানী থেকে তারা তাদের কূটনৈতিক মিশন প্রত্যাহার করছে এবং সকল কূটনীতিককে দেশটি ছাড়তে বলেছে৷

কাতারের সাথে জল-আকাশ পথে যোগাযোগ বন্ধের পরিকল্পনাও করছে তারা৷ বাহরাইন কাতারের বিরুদ্ধে মিডিয়া উস্কানি, বাহরাইনে বিশৃঙ্খলা এবং অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রমে দায়ী ইরানি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থনের অভিযোগ আনে৷ এরপরই ইউএই অভিযোগ করে, সন্ত্রাসী, উগ্রবাদী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন, অর্থ সহায়তা করছে কাতার৷ মিশর বলছে, কাতার সন্ত্রাসী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সহায়তা করে৷ 

কাতারের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত একটি খবরকে কেন্দ্র করে গত মে মাসে উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর মধ্যে এই উত্তেজনা শুরু হয়৷ কাতারের কর্মকর্তাদের মতে, হ্যাকাররা কাতারের আমিরকে ভুলভাবে উদ্বৃত করে একটি খবর ছড়িয়ে দেয়৷ সেখানে উপসাগরীয় নেতাদের সমালোচনার পাশাপাশি আঞ্চলিক শত্রু ইরানের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আহ্বান জানানো হয়৷ বলা হয়, কাতারের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক ভালো৷

উপসাগরীয় দেশগুলো এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে৷ তারা কাতারভিত্তিক স্যাটেলাইট নিউজ নেটওয়ার্ক আল জাজিরাকেও বয়কট করতে শুরু করে৷ কাতারকে বয়কটের এই ঘোষণার পর পারস্য উপসাগরের অপর প্রান্তে অবস্থিত দেশ ইরান এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে৷

ইরানের প্রেসিডেন্টের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হামিদ আবু তালেবি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই পদক্ষেপ সমস্যা সমাধানের পথ নয়৷ আগ্রাসন এবং দখলদারিত্ব অস্থিতিশীলতা ছাড়া আর কোনো ফল বয়ে আনে না৷ গ্যাস সমৃদ্ধ কাতারে  মার্কিন সামরিক বাহিনীর বড় ঘাঁটি রয়েছে৷

এ প্রসঙ্গে আপনার কোন মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

এসএন/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স, ডিডাব্লিউ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য