শীতকালে বিশ্বকাপ
১২ মে ২০১৪একটা সময় ছিল, যখন খেলাধুলোর নির্দিষ্ট সময় ছিল৷ গ্রীষ্মকালে ফুটবল, শীতকালে ক্রিকেট৷ আজ সারা বছর ধরেই চলছে নানা স্তরের নানা টুর্নামেন্ট, লিগ, প্রতিযোগিতা৷ অনেক ইভেন্টের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগ৷ একই খেলোয়াড় কখনো ক্লাবের হয়ে, কখনো বা নিজের জাতীয় দলের হয়ে খেলেন৷ ফলে অঙ্কে গোলমাল হলেই মুশকিল৷
২০২২ সালে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আসর বসছে৷ সাধারণত উত্তর গোলার্ধের গ্রীষ্মে, মানে জুন-জুলাই মাসে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়৷ কিন্তু সে সময় কাতারে যে মারাত্মক গরম পড়ে, তার ফলে খেলোয়াড়, দর্শক, কর্মকর্তা – কারো পক্ষেই খেলা উপভোগ করা সহজ নয়৷ ফলে কাতারের ক্ষেত্রে সময়টা পিছিয়ে শীতকালে নিয়ে যাওয়ার কথা চলছে৷ সে ক্ষেত্রে জুনের পরিবর্তে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বসতে পারে বিশ্বকাপের আসর৷ ফিফা-র প্রধান সেপ ব্লাটার এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন৷ আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই দিনক্ষণ চূড়ান্ত করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি৷
এই পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ইউরোপের ফুটবল লিগ কর্মকর্তারা৷ পেশাদারি লিগগুলির কেন্দ্রীয় সংগঠন ইপিএফএল বলেছে, কাতারের প্রতিযোগিতার সময় বদলাবার সব ক'টি প্রস্তাবই জাতীয় প্রতিযোগিতা ও লিগ-গুলির ব্যবসায়িক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করবে৷ তখন মরসুমের মাঝেই ৮ সপ্তাহের বাধ্যতামূলক বিরতি চলে আসবে৷
শুধু বিশ্বকাপের সময়সূচি নয়, আরও কিছু কারণে কাতারের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনা চলছে৷ গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ কাতারের সমালোচনা করেছে৷ বিশ্বকাপের অবকাঠামো গড়ে তুলতে যে সব বিদেশি শ্রমিক কাজ করছে, তাদের করুণ অবস্থা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠছে৷ বিশেষ করে কাতারের ‘স্পনসরশিপ প্রোগ্রাম' যে ভাবে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ সংস্থার হাতে তুলে দেয়, সেই ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার ডাক দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ৷ বিদেশি শ্রমিকদের নিপীড়নের বিষয়টি কাতারের ভাবমূর্তিতে বেশ আঘাত করছে৷
এসবি / জেডএইচ (এপি)