কাতার বিশ্বকাপ থেকে ফিলিস্তিনের প্রাপ্তি
বিশ্বকাপের মাঠে ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন করেছেন মরক্কোর কয়েকজন খেলোয়াড়৷ ফিলিস্তিনেরা বলছেন, কাতার বিশ্বকাপ প্রমাণ করেছে যে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের বিষয়টি ‘মরে যায়নি’৷
ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে মরক্কোর ফুটবলার, কর্মকর্তা
স্পেন ও ক্যানাডার বিরুদ্ধে জয়ের পর মাঠে ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন করেন মরক্কোর কয়েকজন ফুটবলার ও কর্মকর্তা৷ এছাড়া বিশ্বকাপ চলার সময় সামাজিক মাধ্যমে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পোস্টও দেন কয়েকজন খেলোয়াড়৷
ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে মাঠে
টিউনিশিয়া-ফ্রান্স ম্যাচের সময় এক ব্যক্তি ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন৷ তাকে ধরার চেষ্টা করছেন নিরাপত্তা কর্মীরা৷
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের বিষয়টি ‘মরে যায়নি’
ফিলিস্তিন ফুটবল এসোসিয়েশনের প্রধান জিবরিল রাজুব বলেন, ‘‘বিশ্বকাপ এটা মিথ্যা প্রমাণ করেছে যে, ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটের বিষয়টি শেষ হয়ে গেছে৷’’ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে৷
মরক্কোও আছে
ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা দেশগুলোর একটি মরক্কো৷ তবে এর বিনিময়ে পশ্চিম সাহারায় তাদের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছে মরক্কো৷ যদিও পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে, পশ্চিম সাহারা বিষয়ে গণভোট হওয়া উচিত৷ গত জুনে তোলা উপরের ছবিতে মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ডানে) ও ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে৷
‘আরবদের বিষয়ে বিশ্বাস বেড়েছে’
ফিলিস্তিনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চ’ মঙ্গলবার এক জরিপে বলেছে, কাতার বিশ্বকাপের কারণে আরব বিশ্বের প্রতি ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাস কিছুটা ফিরেছে৷ ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েকটি আরব দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কারণে হতাশ হয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা৷ দোহায় এক ব্যক্তিকে ফিলিস্তিনের পতাকাসহ দেখা যাচ্ছে৷
‘বিশ্বকাপের প্রকৃত বিজয়ী ফিলিস্তিন’
ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম স্বীকার করেছে যে, কাতার বিশ্বকাপ দেখিয়ে দিয়েছে আরব জনগণ আসলে কাদের সমর্থন করে৷ মারিভ সংবাদপত্র এক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, ‘‘বিশ্বকাপে মরক্কোর বিষয়টি প্রমাণ করে দিয়েছে যে, আরব বিশ্ব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেয়ে এখনও অনেক দূরে৷’’ আর বামপন্থি হারেৎস পত্রিকা বলেছে, ‘‘সামাজিক মাধ্যমে বিশ্বকাপের প্রকৃত বিজয়ী ফিলিস্তিন৷’’