কলকাতায় সরকারি হাসপাতালে আগুন
১৮ নভেম্বর ২০২২দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লেগেছিল জরুরি পরিষেবা বিভাগের উল্টেদিকে রেডিও ডায়গনসিস বিভাগে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। তবে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, কীভাবে আগুন লাগলো, তা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করে দেখবেন।
আগুন যখন লাগে তখন বেশ কিছু চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী সেখানে ছিলেন। তবে সেখানে কোনো রোগী ছিলেন না। আগুন লাগার পর প্রচুর ধোঁয়া হয়। রোগীদেরও নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আগুনে কেউ হতাহত হননি। কিন্তু এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কী করে এমন আগুন লাগলো তা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠছে।
আগুন লাগার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। বিভিন্ন বিভাগের কাজ বন্ধ থাকে। দমকল বিভাগের কর্মীরা আগুন নেভাতে কিছু কাচ ভেঙে দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাতের দিকে বিভাগগুলি আবার চালু হয়। রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস এসএসকেএমে যান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মুখ্যসচিবও এসএসকেএমে গেছিলেন।
টিভি৯ জানাচ্ছে, আগুনে বেশ কিছু দামি যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্নও উঠছে। এর আগে ২০১৬ ও ১৮ সালে এই হাসপাতালে আগুন লেগেছিল। তারপর সেখানে আগুন নেভানোর কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল? হাসপাতালে কি ফায়ার অডিট হতো? কর্মীদের কি আগুন নেভানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল?
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
আগুন লেগে তিনটি ঘর পুড়ে গেছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানাচ্ছে। সিটি স্ক্যান বিভাগেরও প্রচুর ক্ষতি হয়ছে। ফলে শুক্রবার এই পরিষেবা ব্যহত হতে পারে।
ঘটনায় কেউ মারা যাননি। হাসপাতালের মধ্যে দমকলের দুইটি ইঞ্জিন থাকে বলে আগুন নেভানোর কাজ দ্রুত শুরু করা গেছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই)