কলকাতায় পয়লা বৈশাখ
পশ্চিমবঙ্গের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনটি কলকাতায় মিলে গেল আন্তর্জাতিক শিল্প দিবস উদযাপনের সঙ্গে৷ বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রায় পা মেলালেন বাংলার বিশিষ্ট শিল্পী, চিত্রকর, ভাস্কর এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা৷
বাঙালির সংস্কৃতি
কলকাতার রাজপথে পুরুলিয়া থেকে আসা ছৌ লোকনৃত্যের শিল্পীরা ধরিয়ে দিলেন নববর্ষের উৎসবের মেজাজ৷ রাজপথ মুখরিত হলো ধামসা, মাদল আর সানাইয়ের ঐকতানে৷
বিশিষ্ট শিল্পীরা
বাংলার বিশিষ্ট শিল্পী যোগেন চোধুরি প্রতিবারের মতো এবারও নববর্ষের এই শোভাযাত্রার মূল আহ্বায়ক৷ তাঁর ডাকে শামিল হয়েছিলেন সমীর আইচ, বিমল দাশ, দেবব্রত চক্রবর্তী ও আরো অনেক শিল্পী৷
শিল্পীদের স্মরণ
মিছিলের হাতে হাতে ছিল প্রয়াত বাঙালি শিল্পীদের প্রতিকৃতি৷ পরিতোষ সেন, বিকাশ ভট্টাচার্য, গনেশ পাইনসহ বহু বিশিষ্ট শিল্পীকে স্মরণ করা হলো৷
মহিলা ঢাকি
পুরুষ ঢাক-বাজিয়েদের পাশাপাশি এখন মেয়েদেরও দেখা যাচ্ছে ঢাকি হিসেবে৷ এই মহিলা ঢাকিরা ছিলেন এবারের শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ৷
স্কুলপড়ুয়ারাও
কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশ নিয়েছিল শোভাযাত্রায়৷ নজর কেড়েছে তাদের বর্ণময় উপস্থিতি৷
রণপায় চড়ে
দ্রুত অনেকটা পথ অতিক্রমের জন্য বাঁশের তৈরি রণপা বাঙালি সমাজের অন্যতম সাংস্কৃতিক চিহ্ন৷ মিছিলে এই রণপাধারীদের নিয়ে ছিল সবার কৌতুহল৷
অভিনব ট্যাবলো
বেতের চুবড়ি দিয়ে তৈরি হাতির মাথা৷ শোলা দিয়ে তৈরি হাতির শুঁড়, কান৷ পিঠে তার শোলার কারুকাজ করা হাওদা৷ শিল্পীর কল্পনায় প্রাণ পেয়েছিল এরকম নানা অভিনব ট্যাবলো৷
ক্ষুদেরাও শামিল
একেবারেই ছোট যারা, সেই বালক-বালিকারাও যেমন খুশি সেজে শামিল হয়েছিল শোভাযাত্রায়, বিভিন্ন আঁকার স্কুলের উদ্যোগে৷
‘বিজাতীয়’ পোশাকেও
যদিও বাংলা নববর্ষের সকাল, কিন্তু মিছিলে অনেককেই দেখা গেল এমন পোশাকে, যা আর যা-ই হোক, বাঙালি নয়!
লোকসংস্কৃতি
শোভাযাত্রার শেষেও ছিলেন ছৌ-নাচিয়েদের দল৷ শহরের অ্যাশফল্টের রাস্তায় তাঁরাই রেখে গেলেন বঙ্গজ লোকসংস্কৃতির রেশ৷