বইমেলার থিম দেশ বাংলাদেশ
৩০ জানুয়ারি ২০১৩গত বছরও তিনি ছিলেন৷ বইমেলায় আন্তর্জাতিক সাহিত্যের আলোচনাসভায় ইংরেজি ভাষার ভারতীয় লেখক বিক্রম শেঠের পাশেই বসে আড্ডায় মেতেছিলেন তিনি, একুশ শতকের বাংলা সাহিত্যের আন্তর্জাতিক মুখ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়৷ এই তো সেদিনই স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায় প্রয়াত স্বামীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বললেন, সুনীলের সঙ্গে হাঁটা যেত না বইমেলায়, প্রতি পদে পদে এক লোক এসে ঘিরে ধরত৷ মানুষটা এবারও না থেকে যেন আরও প্রবলভাবে আছেন৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণ থেকে শুরু করে মেলার মাঠে তার লেখা বই খুঁজে বেড়ানো নবীন পাঠিকার প্রবল অনুসন্ধিৎসায়৷ অবশ্য একা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নন, আরও এক জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজও এবারের বইমেলায় অনুপস্থিত, যাঁদের কথা স্মরণ করলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগ্রহে এবার নিয়ম ভেঙে তিন দিন আগেই শুরু হয়েছে কলকাতা বইমেলা৷ ব্যবস্থার যেন কোনও ত্রুটি না থাকে, তার জন্য প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়ে, মিলনমেলা প্রাঙ্গনে পৌঁছনোর একটি ভূগর্ভ পথ বানিয়েছে রাজ্য পূর্ত ও সড়ক বিভাগ৷ মেলার দিনগুলোয় চালানো হচ্ছে ১০০ বাড়তি সরকারি বাস, যাদের গন্তব্য শুধুই বইমেলা৷ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণেও বললেন, সব কাজ যেন সুষ্ঠুভাবে হয়, সেটাই তাঁর একমাত্র প্রত্যাশা৷
৩৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার থিম দেশ বাংলাদেশ৷ ২৬শে জানুয়ারি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে বিশিষ্ট অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিথ এবং স্বনামধন্য লেখক-অধ্যাপক আনিসুজ্জামান৷ মেলায় বাংলাদেশের স্টলটি এবার তৈরি হয়েছে জাতীয় সংসদভবনের আদলে এবং মেলার একটি ফটক অবিকল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের প্রতিরূপ৷
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো আরও একজন এবারের বইমেলায় না থেকেও প্রবলভাবে আছেন৷ হুমায়ুন আহমেদ৷ প্রকাশকরা বলছেন, পাঠকদের আগ্রহ তুঙ্গে দু'জনকে নিয়ে৷ সুনীলের নীললোহিত আর হুমায়ুনের হিমু৷