কর্ণাটকে উজ্জীবিত কংগ্রেস, চাপে বিজেপি?
২৩ এপ্রিল ২০২৩ভারতে কোনো রাজ্যে বা লোকসভার নির্বাচন হলে দেখা যায়, কংগ্রেস বা আঞ্চলিক দল ছেড়ে নেতারা বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু কর্ণাটকে এবার উল্টো হয়েছে। বিজেপি-র সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দুই জনই লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের নেতা। বিজেপি এবার এই দুই নেতাকে প্রার্থী করতে চাইছিল না। দলের প্রতি বিরক্ত হয়ে তারা কংগ্রেসে যোগ দেন এবং রাহুল গান্ধীর দল তাদের পুরনো কেন্দ্র থেকে দাঁড় করিয়েছে। এছাড়া অমর পাল সিংও বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে এসেছেন।
ঘটনাটা শুধু এই দুই-তিনটি কেন্দ্রেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর প্রভাব আরো ব্যাপক হতে পারে বলে দাবি করছে কংগ্রেস। তারা মনে করছে, এই দুই নেতা লিঙ্গায়েত ভোট তাদের দিকে টেনে আনবেন। জগদীশ শেট্টার পাঁচবারের বিধায়ক এবং সেভাড়ি তিনবারের। মোট ভোটদাতার মধ্যে লিঙ্গায়েতরা প্রায় ১৮ শতাংশ। ফলে তারা পঞ্চাশের বেশি আসনে ভোটের ফল কোনদিকে যাবে তা ঠিক করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেন। এর মধ্যে অধিকাংশই বিজেপি পায়। লিঙ্গায়েতদের সবচেয়ে বড় নেতা হলেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা। তিনি এখনো বিজেপি-র সঙ্গে আছেন।
কংগ্রেসের আশা, শেট্টার ও সেভাড়ি অন্তত গোটা দশেক আসন কংগ্রেসের দিকে নিয়ে আসবেন। বাস্তবে তা হলে কংগ্রেসের বিপুল লাভ ও বিজেপি-র ক্ষতি হবে।
এমনিতেই এবার ওপিনিয়ন পোল বা জনমত সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, কর্ণাটকে কংগ্রেস এগিয়ে আছে বা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে অথবা বিজেপি সামান্য এগিয়ে। সেই অবস্থা্য় দুই প্রভাবশালী নেতা বিজেপি থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়াটা তাৎপর্যপূর্ণ। কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার মনোনয়নপত্র পেশ করতে যাওয়ার সময় বিশাল রোড শো করেছিলেন।
যারা ওপিনিয়ন পোল করেছেন, তাদের মতে, ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার প্রবণতা, দুর্নীতির অভিযোগ, শক্তিশালী বিরোধী দল, মানুষের মোহভঙ্গের কারণে বিজেপি বেশ চাপের মধ্যে আছে। কংগ্রেসের বাড়তি পাওনা হলো, বর্তমানে সর্বভারতীয় সভাপতি ও দলিত নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের নেতা। তিনি অনেকটা সময় প্রচারে দিচ্ছেন। তাছাড়া শিবকুমার যথেষ্ট দক্ষ সংগঠক।
তবে মোদী-শাহ কোনোভাবেই হারতে পছন্দ করেন না। তারা শেষপর্যন্ত লড়ে যান। প্রতিটি রাজ্যে পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা কৌশল নেন। শেষ তারা হিমাচল প্রদেশে হেরেছিলেন। এবার কর্ণাটকে ক্ষমতা হারালে সেটা তাদের কাছেও বড় ধাক্কা হবে। ফলে তারাও মরিয়া হয়ে জিততে চাইবেন। কর্ণাটকে ভোট হবে ১০ মে। ফলাফল প্রকাশ ১৩ মে।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)