করোনায় দিশেহারা ইউরোপ, সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে চীন
২০ মার্চ ২০২০করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টার এখন ইউরোপ৷ ইটালিতে মৃতের সংখ্যা চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে৷ দেশটিতে তিন হাজার ৪০৫ জন মারা গেছেন, আক্রান্ত ৪১ হাজার৷ পুরো দেশ ‘লকডাউন' করে দেওয়া হয়েছে৷ তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে করোনার বিস্তার৷ ইটালির দিকে সাহায্যের বাড়িয়ে দিয়েছে চীন৷
গত ১৫ মার্চ রাতে চীনা চিকিৎসকদের নয় সদস্যের প্রথম দল ইটালির রোমে পৌঁছায়৷ সঙ্গে নিয়ে যায় কয়েক টন জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী৷ এরপর ১৮ মার্চ চীনের ১২ সদস্যের আরেকটি চিকিৎসক দল ১৭ টন জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীসহ ইটালির আরেক শহর মিলানে পৌঁছায়৷
ইটালির আগে চীন ইরান ও ইরাকে চিকিৎসক দল এবং করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি ৷
ইটালি ও চীনের পর ইরানে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ জন হপকিন্সের তথ্যানুযায়ী ইরানে ১২৮৪ জন মারা গেছেন৷
এছাড়া ‘জ্যাক মা ফাউন্ডেশন অ্যান্ড আলিবাবা ফাউন্ডেশন' থেকে ইটালির রেড ক্রসকে মাস্ক, কিটস এবং ভাইরাস প্রতিরোধে নানা জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে৷ বুধবার সেগুলো রোমে পৌঁছায়৷
ইটালি , ফ্রান্স বা স্পেনের মতো না হলেও যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে৷ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৭১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১৩৮ জন৷
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতে ব্রিটিশ সরকার ৬৫ হাজার সাবেক চিকিৎসক ও নার্সকে কাজে ফেরার অনুরোধ করেছেন৷ এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শেষ বর্ষের মেডিকেল শিক্ষার্থীদেরও নানা হাসপাতালে মোতায়েন করেছে৷
ইংল্যান্ডের প্রধান নার্সিং কর্মকর্তা রুথ মে বলেন, ‘‘আমরা একা এটা (করোনা মোকাবিলা) করতে পারবো না৷ তাই আমি সদ্য সাবেক নার্সদের অনুরোধ করছি, বৈশ্বিক এই মহামারীর মধ্যে দয়া করে আপনাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে আমাদের ধার দিন৷ আমরা নিশ্চিত, আপনি জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারবেন৷''
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে৷
এসএনএল/এসিবি (রয়টার্স)