করোনায় তৃতীয় ভারত, খুলছে না তাজ
৬ জুলাই ২০২০সামনে শুধু অ্যামেরিকা ও ব্রাজিল। রাশিয়াকে ছাড়িয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ভারত তৃতীয় স্থানে চলে এল। ভারতে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৩। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৪৮ জন। ভারতের ক্ষেত্রে এটাও রেকর্ড। একদিনে এতজন আগে আক্রান্ত হননি। তবে আশ্বস্ত হওয়ার মতো তথ্য হলো, ভারতে করোনা সেরে যাওয়ার হার প্রায় ৬১ শতাংশ। সব মিলিয়ে মারা গিয়েছেন ১৯ হাজার ৬৯৩ জন।
করোনায় এত লোকের আক্রান্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাজমহল আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত রাখা হয়েছে। তাজমহল, ফতেপুর সিক্রি, আগ্রা ফোর্ট সহ আগ্রার কোনও ঐতিহাসিক জায়গাই খোলা হচ্ছে না। খুলছে না দিল্লির লালকেল্লাও। করোনা পরিস্থিতি দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগ্রাতেই ৭১টি কনটেনমেন্ট জোন হয়েছে, যেখানে প্রবলভাবে করোনা হচ্ছে। দিল্লির কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ৪৪৮।
আগে মুম্বই, দিল্লি, আমদাবাদের অবস্থা খারাপ ছিল। এখন বেঙ্গালুরু, গুয়াহাটি সহ দেশের অনেকগুলি শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কেরালার তিরুবনন্তপুরমে সাতদিনের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ ও অত্যাবশ্যকীয় পেশার লোকজন ছাড়া কেউ বাইরে বেরতে পারবেন না। বেঙ্গালুরুতে প্রতি রোববার পুরোপুরি লকডাউনে থাকছে। গুয়াহাটিতে ১৫ দিনের জন্য লকডাউন চলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ মেনে আসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক ঠিক করেছে, দিল্লি, মুম্বই, পুনে, নাগপুর, চেন্নাই ও আমদাবাদ থেকে কোনও বিমান কলকাতায় যাবে না। এই শহরগুলিতে করোনার তাণ্ডব বেশি। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই সব জায়গার সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ রাখতে চাইছে। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯৫ জন। মারা গিয়েছেন ২১ জন।
এখন অবশ্য আগের থেকে অনেক বেশি লোকের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এক লাখ ৮০ হাজার ৫৯৬ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ৫ জুলাই পর্যন্ত ৯৯ লাখেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। দিল্লিতে রোজ এখন ২০ হাজার বা তার বেশি লোকের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছেন দুই হাজার ৫০০ জনের মতো। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তর প্রদেশ সরকারকে আরও বেশি করে করোনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লিতে ডিফেন্স রিসার্চ অর্গানইজেশন বা ডিআরডিও বিমানবন্দরের কাছে ১১ দিনের মধ্যে এক হাজার বেডের হাসপাতাল বানিয়ে দিয়েছে। সেখানে ২৫০টি আইসিইইউ আছে। অক্সিজেন, ভেন্টিলেটারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের জমিতে অস্থায়ীভাবে এই হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। দিল্লিতে যে হারে লোক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তত হাসপাতাল নেই। সে জন্যই দ্রুত এই হাসপাতাল তৈরি করেছে ডিআরডিও।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)