করোনার নতুন এপিসেন্টার কি যুক্তরাষ্ট্র?
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে দেশটি মারাত্মক সংক্রামক এই রোগের নতুন এপিসেন্টারে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)।
আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে
চীন ও ইটালির পর এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ
ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস ২৪ মার্চ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যত নতুন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ৮৫ শতাংশের বেশি ইউরোপ ও আমেরিকার বাসিন্দা।
যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ও মৃত্যু
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যানুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ মার্চ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪৬ হাজার ৪৮১। মারা গেছেন প্রায় ৬০০ জন।
মারাত্মক ঝুঁকিতে নিউ ইয়র্ক
নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্যানুযায়ী নিউ ইয়র্কে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার একদিনেই নতুন আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজারের বেশি মানুষ।
ইটালিতে কমছে আক্রান্তের সংখ্যা
মোট আক্রান্তে এখনো চীনকে অতিক্রম না করলেও মৃত্যুর সংখ্যা কয়েকদিন আগেই চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইটালি। দেশটিতে প্রতিদিনই মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। তবে আশার কথা কয়েক সপ্তাহ ধরে পুরো দেশ লকডাউন করে রাখায় সেখানে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা গত ১৯ মার্চ থেকে কমতে শুরু করেছে।
বিশ্বে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা
চীনের উহানে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। তারপর দুই লাখ হতে সময় লেগেছে ১১ দিন। আর মাত্র চারদিনে আরো একলাখ নতুন আক্রান্ত হয়েছে।
ঘরে থাকুন, দূরে থাকুন
করোনার এই বিস্তার রোধের একমাত্র উপায় ঘরে থাকা এবং পরষ্পরের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা। তাহলেই একজন থেকে আরেক জনে সংক্রমণের ভয়াবহ এ চক্র ভাঙ্গা সম্ভব হবে। দূরত্ব বজায় রাখাই এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র হাতিয়ার।