করোনা ভাইরাসে খেলাধুলাহীন, উৎসবহীন চীন
এখনো সেখানে চৈনিক নববর্ষ উদযাপনের রেশ থাকার কথা৷ অথচ করোনা ভাইরাসের কারণে চীনে এখন বিপরীত চিত্র৷ সবার সুস্থতা নিশ্চিত করতে সব প্রদর্শনী আর খেলাধুলার বড় সব আয়োজন পিছিয়ে দিয়েছে সে দেশের সরকার৷
উৎসব নয়, আতঙ্কের দেশ
২৫ জানুয়ারি ছিল চীনের নববর্ষ৷ দেশের সবচেয়ে বড় এই উৎসবে এবার কোনো আনন্দই হয়নি৷ ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল সরকারি ছুটি৷ করোনা ভাইরাসের কারণে ছুটি ২ ফেব্রুয়ারি বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার৷ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা এখন বন্ধ৷ কর্মচারীদের প্রয়োজনে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে৷ মূলত উহান শহর করোনা ভাইরাস উপদ্রুত হলেও আরো অনেক শহরই এখন অবরুদ্ধ৷ (ফাইল ফটো)
পিছিয়েছে ফুটবল সুপার কাপ
১৫ ফেব্রুয়ারি সুঝৌ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা চীনের ফুটবল সুপার কাপ ফাইনাল৷ কিন্তু চীন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এ আয়োজন অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়েছে৷ (ফাইল ফটো)
বাস্কেটবল লিগ
বাস্কেটবল লিগও পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করা যাচ্ছে না৷ চাইনিজ বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন সে দেশের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ওইবো-তে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, দেশ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিমুক্ত হওয়ার পর নতুন সময়সূচি জানানো হবে৷ (ফাইল ফটো)
এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ
দু’দিনের এই আয়োজনটি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা৷ চীনের মেডিকেল কমিশনের পরামর্শে এটিও আপাতত স্থগিত৷ ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের এই আয়োজন কবে, কোথায় হবে তা এখনো ঠিক হয়নি৷ (ফাইল ফটো)
এটিপি চ্যালেঞ্জ
টেনিসের বড় একটা আয়োজনেও পড়েছে করোনা ভাইরাসের থাবা৷ ২ মার্চ থেকে ২৩ মার্চের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল বেশ কিছু ম্যাচ৷ হাতে যথেষ্ট সময়, তারপরও ঝুঁকি না নিয়ে এটিপি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বছরের অন্য কোনো সময় হবে ম্যাচগুলো৷ (ফাইল ফটো)
জাতীয় শীতকালীন গেমস
১৪তম এই শীতকালীন জাতীয় আয়োজন এবার পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ইনার মঙ্গোলিয়ার হুলুনবু্ইরে শুরু হওয়ার কথা ছিল৷এই আয়োজনও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে৷ (ফাইল ফটো)
হংকং ম্যারাথন
হংকং-ও করোনা ভাইরাস আতঙ্কে৷ ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি সে দেশে ম্যারাথন হওয়ার কথা ছিল৷ ৭৪ হাজার প্রতিযোগী তাতে অংশ নিতে আগ্রহী ছিলেন৷ হংকংয়ের নেতা ক্যারি ল্যাম করোনা ভাইরাসের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর এ আয়োজনটি নির্ধারিত দিনে শুরু করা নিয়েও আয়োজকরা এখন সংশয়ে৷ (ফাইল ফটো)