কংগ্রেস সভাপতি: গেহলট রাজি, সমস্যা মুখ্যমন্ত্রী পদ
২১ সেপ্টেম্বর ২০২২দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীরসঙ্গে দেখা করে তার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন শশী থারুর। ইচ্ছেটি হলো, কংগ্রেস সভাপতির পদে তিনি লড়তে চান। সোনিয়াও তাঁকে বলেছেন, নিয়ম মেনে কংগ্রেস কর্মীরা লড়তে পারেন। ফলে শশী থারুরও লড়বেন, তাতে তার কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।
এরপর জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার অর্থ এই নয় যে, তিনি সভানেত্রীর আশীর্বাদ পেয়ে গেলেন। সোনিয়া গান্ধী দলের নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নিরপেক্ষ থাকবেন।
সূত্র জানাচ্ছে, রাহুল, প্রিয়ঙ্কার ইচ্ছে, অশোক গেহলট পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হোন। তিনি পরিবারের প্রতি খুবই বিশ্বস্ত নেতা। এতদিন পর্যন্ত প্রকাশ্যে অন্তত কোনো বিদ্রোহ করেননি। তাদের অঙ্ক, গেহলট মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিল্লি এসে সভাপতির দায়িত্ব নেবেন। আর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হবেন শচিন পাইলট। পরিবারের দুই ভাইবোন শচিনকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।
আর এখানেই শুরু হয়েছে নতুন গোলমাল। কারণ, অশোক গেহলট মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান না। তিনি মঙ্গলবার রাতে দলের বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে তিনি কয়েকটা কথা বলেছেন বলে সূত্র জানাচ্ছে। গেহলট বলেছেন, তিনি কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র পেশ করবেন। কিন্তু তিনি দূরে যাচ্ছেন না। দিল্লি তাকে যেতে হতে পারে, তার মানে এই নয়, তিনি রাজস্থান ছেড়ে দেবেন। তিনি জানিয়েছেন, ''আমি কোথাও যাচ্ছি না। চিন্তা করার দরকার নেই।''
গেহলট বুধবার সন্ধ্যায় সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন। বৃহস্পতিবার তিনি যাবেন কেরালায় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে। রাহুল সেখানে পদযাত্রা করছেন। তিনি রাহুলকে শেষবারের মতো দলের সভাপতি হওয়ার জন্য অনুরোধ করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়টি নিয়েও কথা বলবেন।
শচিন ইতিমধ্যে রাহুলের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এবার তিনিও সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন।
গেহলট তার ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থেকে যেতে চান। একান্ত না হলে, তিনি তার কোনো অনুগত নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান। শচিন পাইলটকে তিনি মেনে নেবেন না।
গেহলট যদি তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, তাহলে রাহুলরা বিপাকে পড়বেন। একবার তারা শচিনের দল ভাঙার চেষ্টা থামিয়েছেন। বারবার তো তারা শচিন পাইলটকে এভাবে আটকাতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত এই তালেগোলে বিজেপি-র হাতে আরেকটি রাজ্য চলে যাবে না তো!
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)