ওয়াইনহাউসের প্রতি ভক্তদের শ্রদ্ধা ও অশ্রু
২৪ জুলাই ২০১১এত অল্প বয়সে প্রতিভাবান শিল্পীর বিদায় কেউই মেনে নিতে পারছে না৷ চমৎকার কণ্ঠ এবং গান ছাড়াও ট্রেডমার্ক চুল, ব্যতিক্রমী মেকআপ আর সারা শরীরে ট্যাটু ছিল ওয়াইনহাউসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য৷ এছাড়া তাঁর গানের কথাগুলোও যেন ছিল তাঁর অনিয়ন্ত্রিত এবং অবাধ্য জীবনেরই একটি প্রতিচ্ছবি৷ তা সত্ত্বেও ভক্তদের হৃদয় জয় করতে পেরেছিলেন এই তারকা৷ তাঁর বিদায়ের পর ভক্তরা তাঁর বাড়ির সামনে ফুল রেখে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে তাঁকে স্মরণ করছে৷ কেউবা সঙ্গে এনেছে তাঁর অতি প্রিয় টেডি বিয়ারটি৷ ওয়াইনহাউসের এই হঠাৎ বিদায় মনে করিয়ে দিচ্ছে দুই বছর আগে পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর কথা৷
মাত্র ২৭ বছর বয়সে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অ্যামি ওয়াইনহাউস শামিল হয়েছেন অন্যান্য সংগীত তারকার কাতারে৷ রোলিং স্টোন ব্যান্ডের ব্রায়ান জোন্স, ডোরস ব্যান্ডের জিম মরিসন, নির্ভানা ব্যান্ডের কার্ট কোবাইন এই সব তারকা মারা গেছেন মাত্র ২৭ বছর বয়সে৷ এদের অনেকের ট্র্যাজিক মৃত্যুর পেছনে ছিল অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন৷ অ্যামি ওয়াইনহাউসও তার মধ্যে পড়ে গেলেন৷
কিন্তু তাই বলে তাঁর প্রতিভাকে মোটেই অস্বীকার করা যাবে না৷ বিগত ২০০৩ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রথম অ্যালবাম ‘ফ্রাঙ্ক' দিয়ে মাত করে ফেলেন গোটা ব্রিটেনকে৷ তারপর ২০০৬ সালে আসে তাঁর সুপার হিট ‘ব্যাক টু ব্ল্যাক'৷ পাঁচটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জেতেন ওয়াইনহাউস সেই বছর৷ পরের বছর তার সলো ‘রিহ্যাব'ও দারুণ সাড়া ফেলে সংগীত জগতে৷ কিন্তু কেবল গান তো মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে না, শরীরটাকেও তো যত্ন করতে হবে৷ আর এখানেই পারলেন না অ্যামি৷ তবে ভক্তদের কাছে এবং সংগীত জগতে ওয়াইনহাউস ইতিমধ্যে অমরত্বের জায়গাটি পাকা করে ফেলেছেন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই