ওসামা বিন লাদেন নিহত
২ মে ২০১১তিনি বলেন, তাঁর নির্দেশে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ছোট্ট দল রবিবার পাকিস্তানে লাদেনকে মারতে সমর্থ হয়৷ এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ তবে এতে মার্কিন বাহিনীর কেউ মারা যান নি৷ কোনো সাধারণ লোকও নিহত হয় নি৷ এরপর লাদেনের মরদেহ নিজেদের কাছে নিয়ে নেয় মার্কিন বাহিনী৷
ওয়াশিংটন সময় রবিবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ওবামা নাটকীয় এই ঘোষণা দেন৷
অভিযানের পর ওবামা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন৷ ওবামা বলেন পাকিস্তান এই অভিযানে সহায়তা করেছে৷
প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর ভাষণে বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত লাদেনকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরা৷
তিনি বলেন, লাদেনকে মারার মানে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়৷ কারণ তিনি কোনো মুসলিম নেতা ছিলেন না৷ বরং লাদেনের হাতে অনেক নিরীহ মুসলমানও মারা গেছেন৷ ওবামা বলেন, লাদেন হাজার হাজার সাধারণ জনগণ হত্যার জন্য দায়ী৷
প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর ভাষণে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলায় নিহতদের বারবার স্মরণ করেন৷ ঐ ঘটনায় প্রায় তিন হাজার জন নিহত হন৷
এদিকে লাদেনের নিহত হওয়ার খবর প্রচারে পর উল্লসিত মার্কিন জনগণ হোয়াইট হাউসের কাছে জড়ো হয়ে ‘ইউএসএ, ইউএসএ’ বলে শ্লোগান দেয়৷
কে এই লাদেন?
অনেক দিন ধরেই লাদেনের নাম যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় ছিল৷ কিন্তু টুইন টাওয়ার ঘটনার পর তার নাম একেবারে শীর্ষে চলে আসে৷ শুধু অ্যামেরিকায় নয়, সারা বিশ্বেই সন্ত্রাসবাদের বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠেন বিন লাদেন৷
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৭ সালে সৌদি আরবে৷ তার বাবার নাম ছিল মোহাম্মদ বিন লাদেন৷ যিনি সৌদি আরবের প্রায় ৮০ ভাগ সড়কের নির্মাণকাজ করেছেন৷ ফলে তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধনী একজন ব্যক্তি৷ ওসামা বিন লাদেন ছিলেন তার ৫২ সন্তানের মধ্যে ১৭তম৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম