হিজড়াদের টয়লেট ব্যবহার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭গতবছর মে মাসে হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া ঐ নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্কুলগুলোকে হিজড়া শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টয়লেট ব্যবহার করতে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল৷ অর্থাৎ হিজড়ারা নিজেদের যে লিঙ্গের অন্তর্গত বলে মনে করেন, সেই অনুযায়ী তাদের টয়লেট ব্যবহার করতে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল৷
সেই সময় ১৩টি রাজ্য এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল৷ একজন ফেডারেল বিচারকও ওবামার গাইডলাইন স্থগিত করে রায় দিয়েছিলেন৷
ট্রাম্প প্রশাসন বুধবার এই নির্দেশনা বাতিল করে সব স্কুলে নতুন একটি গাইডলাইন পাঠিয়েছে৷ দুই পৃষ্ঠার ঐ নির্দেশনায় বলা হয়, ওবামা প্রশাসনের গাইডলাইনটিতে পর্যাপ্ত আইনি বিশ্লেষণের অভাব রয়েছে৷ এছাড়া ‘টাইটেল নবম’ আইনে যা বলা আছে, তার সঙ্গে ওবামার নির্দেশনার কোথায় মিল রয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ উল্লেখ্য, টাইটেল নবম হচ্ছে একটি আইন, যার মাধ্যমে স্কুলে যৌন বৈষম্য করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ তবে লিঙ্গ পরিচয় এই আইনে গণ্য হবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনায় হিজড়াদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার স্কুল ও রাজ্যগুলোর উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷
তবে এই বিষয়ে আদালতের কাছ থেকে একটি পরিপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
এদিকে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে প্রায় ২০০ জন হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন৷ তাঁদের হাতে ছিল রংধনু রংয়ের পতাকা, যা এলজিবিটি সম্প্রদায়ের প্রতীক৷
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেক্সিকোতে
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সীমান্তে দেয়াল নির্মাণকে কেন্দ্র করে মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শীতল হয়ে উঠেছে৷ সম্প্রতি মেক্সিকোর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসীদের (তারা যে দেশেরই নাগরিক হোন না কেন) মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ফলে নতুন করে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠেছে৷
মেক্সিকো বলেছে, দুই দেশের সম্পর্ক ভেঙে গেলে অবৈধ মাদক পাচার ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রকে তারা যে বর্তমানে সহযোগিতা করছে, তার উপর প্রভাব পড়তে পারে৷ এছাড়া মধ্য অ্যামেরিকার নাগরিকদের অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতেও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করে থাকে৷ সম্পর্ক ভেঙে গেলে এই কার্যক্রমও ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে মেক্সিকো৷
এই পরিস্থিতিতে মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনা করতে সেই দেশে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জন কেলি৷ বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি, এপি)