ওড়িশার মন্ত্রীকে কেন গুলি করে মারলো পুলিশ?
৩০ জানুয়ারি ২০২৩ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশেোর দাসকে গুলি করে মারল পুলিশ। তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারই গুলি করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী পূর্ব ওড়িশার ব্রজরাজনগরে একটি অনুষ্ঠানে গেছিলেন। তিনি গাড়ি থেকে নামার পর, সমর্থকেরা যখন তাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছিলেন, তখন তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্টেন্ট সাব ইন্সপ্ক্টর গোপালকৃষ্ণ দাস তাকে লক্ষ্য করে দুইটি গুলি করে। নব কিশোরের বুকে গুলি লাগে। তাকে হেলিকপ্টারে করে ভুবনেশ্বরের অ্যাপেলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
গোপালকৃষ্ণ দাসকে স্থানীয় মানুষ ধরে ফেলে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন গোপাল গুলি চালিয়েছিল, তা সরকারিভাবে এখনো বলা হয়নি।
নব কিশেোর আগে কংগ্রেসে ছিলেন। স্থানীয় খনি এলাকায় তিনি শক্তিশালী নেতাবলে পরিচিত ছিলেন। ২০১৯-এর ভোটের আগে তিনি বিজেডিতে যোগ দেন ও দল জেতার পর মন্ত্রী হন।
কংগ্রেস এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী নিজের মন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন না। তিনি রাজ্যের লোককে কি নিরাপত্তা দেবেন?
চিকিৎসকের বক্তব্য
এমকেওজি মেডিক্যাল কলেজ ও হাপাতালের সাইকিয়েট্রি বিভাগের প্রধান চন্দ্রশেখর ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, গোপালকৃষ্ণ বাইপোলার ডিসঅর্ডার নামক অসুখে ভুগছে।
তিনি বলেছেন, ''বছর আটেক আগে সে আমার ক্নিনিকে আসে। চট করে সে খুবই রেগে যেত। আমার কাছে সে চিকিৎসা করিয়েছে। আমি জানি না, সে নিয়মিত ওষুধ নিচ্ছিল কিনা। ওষুধ ঠিকভাবে না নিলে তার আবার ওই রোগ ফিরে আসার কথা।''
ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, এক বছর আগে গোপাল দাস শেষবার তার কাছে এসেছিল।
গোপাল দাসের স্ত্রী জয়ন্তীও জানিয়েছে, তার স্বামী ওষুধ খেত। তবে তার পোস্টিং ছিল বাড়ি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে। তাই সে নিয়মিত ওষুধ খেত কিনা তা তিনি বলতে পারেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপাল দাস তার মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলের কাছে পার্ক করে এগিয়ে যায়। মন্ত্রীকে সে ৫০ মিটার দূর থেকে গুলি করে। তারপর সে উপরের দিকে গুলি চালাতে চালাতে পালাতে চায়। কিন্তু চারপাশের মানুষ তাকে ধরে ফেলে।
পুলিশের বক্তব্য, গোপাল দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)