এশিয়ায় মহিলাদের মধ্যে এইডস বাড়ছে
৩০ জুন ২০১০জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১৯৯০ সালে এশিয়ায় এইডস রোগে আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে শতকরা ১৮ শতাংশই ছিল মহিলা৷ ২০০৭ সালে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশে৷ এশিয়ায় জাতিসংঘের দপ্তর ইউনাইটেড নেশান্স ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ফর উইমেন-এর আঞ্চলিক পরিচালক মোনি পিজানি বলেন, এশিয়ার সরকারদের এই রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের, বিশেষ করে মহিলাদের এইডসের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিতে হবে ৷ এই সমস্যা সমাধানে এখনই দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন৷ কারণ একটি মহিলাকে বাঁচানোর অর্থ হল একটি পরিবারকে বাঁচানো৷
রাজধানী ব্যাংকক থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে পাটায়ায় আয়োজিত একটি সেমিনারে পিজানি একথাগুলো বলেন৷ জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকে এশিয়া মহাদেশে মহিলাদের মধ্যে এইডস ছড়িয়ে পড়েছে এই হারে :
কাম্বোডিয়া – ৪৭ শতাংশ
ভারত – ৩৭ শতাংশ
ইন্দোনেশিয়া – ২১ শতাংশ
মালয়েশিয়া – ১৫ শতাংশ
নেপাল – ২৪ শতাংশ
ফিলিপাইন্স – ৪০ শতাংশ
শ্রীলঙ্কা – ৩৭ শতাংশ
থাইল্যান্ড – ৩৫ শতাংশ
মোনি পিজানি বলেন, এইডস রোগের সংক্রামণ রোধ করতে রাজনৈতিক নেতাদের অবশ্যই যৌন কর্মীদের মানবাধিকারের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে৷ কেননা বহু যৌনকর্মী এই পথে যেতে বাধ্য হয়৷ তাদের এই পথ থেকে বের করে আনার কোন সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই৷ একজন পুরুষ যদি নিয়মিত যৌনকর্মীদের কাছে যায় তাহলে সে খুব সহজেই তাঁর স্ত্রীকে নানা ধরণের যৌনব্যাধিতে আক্রান্ত করতে পারে৷ শুধুমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই এই রোগকে প্রতিহত করা সম্ভব৷
২০০৮ সালে জাতিসংঘের দেওয়া এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গোটা এশিয়ায় প্রায় এক কোটি মহিলা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছে এবং অন্তত সাড়ে সাত কোটি পুরুষ তাদের কাছে নিয়মিত যাচ্ছে৷ একই প্রতিবেদনে জানানো হয় অন্তত ৫০ লক্ষ মহিলাকে তাদের স্বামী এইডস রোগে আক্রান্ত করেন৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদন : আবদুল্লাহ আল-ফারূক