এশিয়ার নদীতে যত প্রাণহানি

৪ মাস আগেও একই নদীতে প্রাণ গিয়েছিল ২২ জনের৷ মঙ্গলবার চীনের হুবাই প্রদেশে সেই ইয়াংৎসে নদীতেই সাড়ে চারশ যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল একটি জাহাজ৷ উদ্ধার তৎপরতা চলছে৷ স্বজনেরা প্রিয়জনকে জীবিত ফিরে পাওয়ার আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করছেন উৎকণ্ঠায়৷

গত মার্চে মিয়ানমারের দক্ষিণ রাখাইন রাজ্যে ফেরি দুর্ঘটনায় মারা যায় ৬১ জন৷

চীনের ইয়াংৎসে নদীতেই সেবার মারা যায় ২২ জন৷ এই ২২ জনের মধ্যে ৮ জন বিদেশিও ছিলেন৷ ঠিক তার আগের মাসে বাংলাদেশেও ঘটে যায় মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা৷ তাতে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে গিয়ে লঞ্চ ডুবে যাওয়ায় মারা যান কমপক্ষে ৬৯ জন৷

সৌলের সেই ফেরি দুর্ঘটনার কথা দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ অন্তত কোনোদিন ভুলতে পারবেনা৷ ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল এক ফেরি দুর্ঘটনায় ৩০২ জন প্রাণ হারায়৷ মৃতদের অধিকাংশই স্কুলের শিক্ষার্থী৷ পরে এ দুর্ঘটনার জন্য ফেরির ক্যাপ্টেনকে ৩৬ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷

কার্গো জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে ফিলিপাইন্সের কেবুতে ডুবে যায় সেন্ট টমাস অ্যাকুইনাস নামের একটি ফেরি৷ পরিণামে মারা যান ৭১ জন৷ অন্তত ৪৯ জন যাত্রীর আর সন্ধান পাওয়া যায়নি৷

২০১২ সালের ২৭ জুন ইন্দোনেশিয়া থেকে দু’শর মতো অভিবাসন প্রত্যাশী নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল একটি জাহাজ৷ ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডের কাছে ডুবে যায় জাহাজটি৷ ওই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৭৩ জন প্রাণ হারায়৷ যাত্রীদের সবাই ছিল আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের নাগরিক৷

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের ব্রক্ষপুত্র নদীতে ফেরি ডুবে যাওয়ায় মারা যায় ২০৩ জন৷

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসির দ্বীপের কাছে ফেরি ডুবে মারা যায় ২৩৫ জন৷

ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়ে ফিলিপাইন্সের সিবুয়ান দ্বীপের কাছে ডুবে যায় ৮৫০ জন যাত্রী বোঝাই জাহাজ৷ মাত্র ৫৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ বাকিদের নদীবক্ষেই পড়েছে শেষ নিঃশ্বাস!