এশিয়া কাপে টাইগারদের প্রতিপক্ষ
শনিবার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১৪তম আসর৷ দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ছয়টি দল৷ বি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলংকা৷
বাংলাদেশ
শেষ তিন টুর্নামেন্টের দুটিতেই ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ৷ তবে স্বপ্নের ট্রফি দুবারই ফসকে গেছে হাতের নাগালে এসে৷ ২০১২ সালে পাকিস্তানের দেয়া ২৩৬ রানের টার্গেট দুই উইকেট হাতে রেখেও পেরোতে পারেনি টাইগাররা৷ ২৩৪ রানে থমকে যাওয়ায় দুই রানে থমকে যায় প্রথমবারের মতো এশিয়ার সেরা হওয়ার স্বপ্ন৷ ২০১৬ সালের টি-টোয়েনিটি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে ভারতের কাছে হারতে হয় ৮ উইকেটে৷
ভারত
এবারের এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত৷ সব মিলিয়ে ছয়টি এশিয়া কাপ ট্রফি আছে দেশটির ঝুলিতে৷ ১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের প্রথম পাঁচ আসরের চারটির ট্রফিই গেছে ভারতের ঘরে৷ অবশ্য শ্রীলংকার সাথে বিরোধে জড়িয়ে ১৯৮৬ সালের দ্বিতীয় এশিয়া কাপে অংশ নেয়নি ভারত৷
শ্রীলংকা
শ্রীলংকার ঝুলিতে আছে এশিয়া কাপের পাঁচটি ট্রফি৷ ১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপে ভারত অংশ না নেয়ায় তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয় আইসিসির তৎকালীন সহযোগী সদস্য বাংলাদেশকে৷ বাংলাদেশ অবশ্য শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের সাথে দুটো ম্যাচেই হেরে যায়৷ পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ট্রফি জেতে শ্রীলংকা৷ সবশেষ ২০১৪ সালের টুর্নামেন্টেু পঞ্চম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় দেশটি৷
পাকিস্তান
এখন পর্যন্ত দুবার এশিয়ার সেরা হয়েছে পাকিস্তান৷ ২০০০ সালে শ্রীলংকাকে ৩৯ রানে হারিয়ে প্রথম ট্রফি ঘরে তোলে দেশটি৷ ২০১২ সালে বাংলাদেশকে মাত্র দুই রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান৷
আফগানিস্তান
এশিয়া কাপে এবার কেবল দ্বিতীয়বারের মতো খেলবে আফগানিস্তান৷ এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবার এশিয়া কাপ খেললেও দুই বছর পরের টুর্নামেন্টে বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে পারেনি দেশটি৷ তবে প্রথমবার গ্রুপ পর্বে বিদায় নিলেও বাংলাদেশকে ৩২ রানে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দেয় দেশটি৷
হংকং
এ নিয়ে তৃতীয়বার এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলবে হংকং৷ এর আগে ২০০৪ ও ২০০৮ সালে খেললেও দলটি বাদ পড়ে প্রথম রাউন্ডেই৷ তবে ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চার টুর্নামেন্টে কোয়ালিফাই করতে পারেনি দেশটি৷ তবে ২০১৮ সালের বাছাই পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দুই উইকেটে হারিয়ে মূল পর্বে স্থান করে নিয়েছে দেশটি৷