এর্দোয়ানকে বাইডেন-পুটিনের অভিনন্দনবার্তা
২৯ মে ২০২৩রোববার তৃতীয়বারের জন্য জয়ী হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান। বিরোধী প্রার্থী কেমাল কুলুচদারুলুর চেয়ে কয়েক শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন এর্দোয়ান। জেতার জন্য তার প্রয়োজন ছিল ৫০ শতাংশ ভোট। বিরোধীরা অবশ্য অভিযোগ করেছে, ভোটে জেতার জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন এর্দোয়ান। রোববার দ্বিতীয় দফার ভোটে এর্দোয়ান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট। এর আগে প্রথম দফার ভোটে তিনি ৪৯ শতাংশ ভোট পাওয়ায় দ্বিতীয় দফার ভোটের আয়োজন হয়। কারণ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হতে হলে ৫০ শতাংশ ভোট পেতেই হবে।
এর্দোয়ানের জয় ঘোষণা হওয়ার পরেই জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস টুইট করে তাকে অভিনন্দন জানান। জার্মানি জানিয়েছে, 'একসঙ্গে আরো অনেক কাজ করতে হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত করতে হবে।'
এর্দোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন টুইটে লিখেছেন, ন্যাটোর পার্টনার হিসেবে এর্দোয়ানকে তিনি অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য এর্দোয়ানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রায় কাছাকাছি সময়েই এর্দোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন। তিনি লিখেছেন, এর্দোয়ানের জয় অবশ্যম্ভাবী ছিল। কারণ, তুরস্ককে এতদিন ধরে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাশিয়ার বন্ধু হিসেবেও এর্দোয়ানের তুরস্ককে চিহ্নিত করেছেন পুটিন। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরো গাঢ় হবে, এমন আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমিরি জেলেনস্কি টুইট করে জানিয়েছেন, তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করার লক্ষেই এগোবে ইউক্রেন। এর্দোয়ানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা হবে।
বস্তুত, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে খাদ্যশস্যের চুক্তি তুরস্কের মধ্যস্থতাতেই হয়েছে। এর ফলে কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিশ্বের অন্যত্র পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা তুরস্কে বৈঠক করেছিলেন শান্তির লক্ষ্যে। যদিও তা সফল হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর তরফেও এর্দোয়ানকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। দুই সংগঠনই জানিয়েছে, তুরস্কের কাছে তারা আরো বড় ভূমিকা আশা করে। তারা চায়, এর্দোয়ান আরো বেশি সহায়ক শক্তি হয়ে উঠুন।
ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিতে এর্দোয়ানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। একদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ থামাতে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। কারণ, রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই পক্ষের সঙ্গেই তুরস্কের যোগাযোগ আছে। অন্যদিকে, সুইডেনের ন্যাটোয় যোগদান নিয়ে তুরস্কই শেষ বক্তব্য রাখবে। তাদের ভেটোতেই বিষয়টি আটকে আছে। ফলে সবপক্ষের কাছেই ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে এর্দোয়ানের গুরুত্ব অনেকটা।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)