1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এমন ছাত্রলীগ চান না ওবায়দুল কাদের

২ ডিসেম্বর ২০২২

‘‘মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না৷ মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে,শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে৷ খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না!'' সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট হয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের৷

https://p.dw.com/p/4KP6H
ওবায়দুল কাদেরছবি: bdnews24.com

সম্মেলন অনুষ্ঠানে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রতি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ‘মনোযোগের ঘাটতিতে' ক্ষুব্ধ ওবায়দুল কাদের৷ প্রশ্ন তুলেছেন তাদের সময়জ্ঞান নিয়েও৷

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলনে তাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের৷ তিনি বলেন, এমন কর্মী তারা চান না৷

 রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের এই আয়োজনে ওবায়দুল কাদের ছিলেন প্রধান অতিথি৷ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য অনুষ্ঠানে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য দেওয়ায় সময় স্বল্পতার কারণে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আসা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অনেকে বক্তব্য দিতে পারেননি৷

জয় ও লেখকের লম্বা বক্তৃতায় ক্ষুব্ধ ওবায়দুল কাদের বলেন,  ‘‘আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না৷ পরে কে বলবে খেয়াল থাকে না৷”এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন,  ‘‘অনেক তো নেতা আসছে, কর্মী কোথায়? এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না৷ শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ- এই ছাত্রলীগ নয়৷’’

এক সময় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেয়া ওবায়দুল কাদের বলেন,  ‘‘মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না৷ মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে, শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে৷ খাঁটি কর্মী বিশৃঙ্খলা করে না৷ সব নেতা হয়ে গেছে!”

কাদের বলেন,  ‘‘আজকে নানকের (জাহাঙ্গীর কবির নানক) মতো… আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সময়ের অভাবে বক্তব্য দিতে পারলেন না৷ আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না৷ পরে কে বলবে না বলবে- এটা খেয়াল থাকে না৷”

তিনি বলেন,  ‘‘আজকে জুম্মার দিন কি না খেয়াল থাকে না! এই ছাত্রলীগআমরা চাই না৷ সুশৃঙ্খল করুন, সুসংগঠিত করুন৷ কথা শুনবে না এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নাই৷ অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ দরকার নাই৷’’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াও ছিলেন অনুষ্ঠানে,যারা বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে এসেছেন৷

ওবায়দুল কাদের বলেন,  ‘‘বাহাউদ্দিন নাছিম কারা নির্যাতিত নেতা, আমাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক; বক্তৃতা করতে পারে নাই৷ আমন্ত্রিত অনেকেই আজকে আওয়ামী লীগের মহানগরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক- তারা বক্তা ছিল৷ বক্তব্য দিতে পারে নাই৷ বিপ্লব (বিপ্লব বড়ুয়া) বক্তব্য দিতে পারে নাই৷ তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন?”

ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার উদ্দেশে কাদের বলেন,  ‘‘একটু একটু করেও বলতে পারল না৷ আপনারা দুজনের এক ঘণ্টা... মনে নেই আজ শুক্রবার৷ লেখকের না হলে মনে ছিল না, জয়ের কি মনে ছিল না?”

এ সময় কর্মীদের স্লোগান বন্ধ করতে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,  ‘‘যার নামে স্লোগান দেবেন, তাকে নেতা বানাব না৷ নেত্রীকে বলে দেব৷ স্লোগান যার নামে হবে, সে বাদ৷”

ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন৷ সম্মেলন উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়৷ প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য৷

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, হুমায়ুন কবির৷

এনএস/এফএস (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)  

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য