নিখোঁজ বিমান অনুসন্ধান
১৪ এপ্রিল ২০১৪এই তল্লাশি অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জয়েন্ট এজেন্সি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের ( জেএসিসি) প্রধান অ্যাঙ্গাস হসটন সেমাবার জানান, ‘ওশেন শিল্ড' জাহাজের যন্ত্রপাতি দিয়ে এমএইচ৩৭০ এর ব্ল্যাক বক্সের সংকেত খোঁজার যে কাজ চলছিল, সোমবারই তা বন্ধ করা হবে৷ এরপর বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজে যত দ্রুত সম্ভব সাগরের তলদেশে নামবে মার্কিন নৌবাহনীর ব্লুফিন-২১৷
মালয়েশীয় বিমানটির ব্ল্যাক বক্স যদি সাগরের তলদেশে থেকেও থাকে, তার ব্যাটারি ইতোমধ্যে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা৷ আর এতোদিন পর ভাসমান কোনো ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার আশাও নেই বললেই চলে৷ এই প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো কাজ শুরু করতে যাচ্ছে রোবোটিক ডুবোজাহাজ৷
গত ৫ ও ৬ এপ্রিল দুটি জাহাজ দুটি সংকেত পায়, যেগুলো নিখোঁজ বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে আসতে পারে এমন সম্ভাবনা থাকায় তল্লাশি অভিযান নতুন মোড় নেয়৷ অভিযানে থাকা জাহাজ ‘ওশেন শিল্ড' এ পর্যন্ত চারটি সংকত ধরতে পেরেছে, যার মাধ্যমে অনুসন্ধানের এলাকা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছ৷
হসটন জানান, ব্ল্যাক বক্স থেকে শেষবার সংকেত পাওয়ার পর ছয়দিন পেরিয়ে গেছে৷ এরপর আর কোনো সাড়া মেলেনি৷ ব্ল্যাক বক্স সাধারণত ৩০ দিন পর্যন্ত সচল থাকে, ফলে এখন সাগর তলে অনুসন্ধান চালানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই৷
১৬.২ মিটার দীর্ঘ ব্লুফিন-২১ পানির নিচে ৪ হাজার ৫০০ মিটার নিচ পর্যন্ত নামতে পারে৷ এজন্য সময় লাগে দুই ঘণ্টা৷ আর একবার নেমে কাজ শেষ করতে ২৪ ঘণ্টার মতো সময় লাগে৷ এই ডুবোজাহাজের ‘সাইড স্ক্যানিং সোনার' থেকে শব্দ তরঙ্গ পাঠিয়ে সাগরের তলদেশে নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খোঁজা হবে৷ প্রাথমিকভাবে নজর দেয়া হবে ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকায়৷ অবশ্য হসটন বরাবরই বলে আসছেন, সাগরতলে কিছু খুঁজে পাওয়া যাবেই, এমন নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয়৷
গত ৮ মার্চ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে মালয়েশিয়া থেকে চীনের বেইজিংয়ে যাওয়ার পথে ‘উধাও' হয়ে যায় মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটি৷ এরপর বিমানটির কোনো ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি, ছিনতাই হওয়ারও কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য মেলেনি৷ আরোহীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানা যায়নি গত ৩৮ দিনেও৷
জেকে/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)