1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যবাংলাদেশ

এডিবি-বিশ্বব্যাংকের কাছে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ চায় সরকার

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত সংস্কার ও ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংক থেকে তিন বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা পেতে পারে বাংলাদেশ৷

https://p.dw.com/p/4kVV3
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের জন্য এক বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে এডিবিকে চিঠি দিয়েছেছবি: Imago Images

গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের জন্য এক বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে এডিবিকে চিঠি দিয়েছে৷ এছাড়া উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার জন্য আরও এক বিলিয়ন ডলার ঋণের বিষয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারের সঙ্গে এডিবি আলোচনা করছে বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টার৷

এর মধ্যে ৪০ কোটি ডলার দেবে এডিবি৷ আশা করা হচ্ছে, বাকি ৬০ কোটি ডলার আসবে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে৷ গত রোববার বাজেট সহায়তা হিসেবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সংস্কারের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে আরও এক বিলিয়ন ডলার চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়৷

গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশকে দেওয়া চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের বাইরে আরও তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মিশন আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছে৷

সব মিলিয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত মাসে দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার আরও ছয় বিলিয়ন ডলার চেয়েছে৷ অন্তর্বর্তী সরকার রিজার্ভকে শক্তিশালী করতে চায়৷ গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে৷ মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতিতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার৷ এ বিষয়গুলো গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে পড়েছে৷

ঋণখেলাপি যে দলেরই হোক না কেন, আমরা ছাড়বো না: গভর্নর

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এডিবিকে পাঠানো চিঠিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংস্কারের জন্য বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে৷ চিঠিতে উল্লিখিত বিষয়গুলোর মধ্যে আছে খাতভিত্তিক প্রশাসনের উন্নতি, অনুকূল নীতিমালা, নিয়ন্ত্রক কাঠামোর বিকাশ, আর্থিক কার্যকারিতা, খাতগুলোর উন্নয়ন, বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিয়ে পরিকল্পনা করা৷

চিঠিতে আরও বলা হয়, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ আমদানিতে সরকারের খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে৷ এছাড়া দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ায় আরও জ্বালানি আমদানি করতে হবে৷ এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি ও ক্রয় প্রক্রিয়া পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করেছে৷

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, তারা এডিবির কাছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের জন্য ৫০ কোটি ডলারের দুটি কিস্তিতে এক বিলিয়ন ডলার চেয়েছেন৷ কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আসার পর বাংলাদেশ রেয়াতি ঋণ ও শুল্ক সুবিধাসহ বেশকিছু সুবিধা হারাবে৷

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী৷'' আইএমএফ মিশন ঢাকায় এলে অতিরিক্ত তিন বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রাথমিক আলোচনা শুরু হবে৷ এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ভার্চুয়াল সভায় এ ঋণ চেয়েছেন৷

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আইএমএফের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে অতিরিক্ত ঋণ সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন৷ আইএমএফ কর্মকর্তারা অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছেন, সংস্থাটি বাংলাদেশকে কী পরিমাণ ঋণ দিতে পারে তারা তা মূল্যায়ন করছেন৷ চলমান চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ কর্মসূচির আওতায় আইএমএফ এ পর্যন্ত দুই দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার দিয়েছে৷

তবে আগামী অক্টোবরে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভার ফাঁকে ঋণ ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক হতে পারে৷ বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে৷

গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আহসান এইচ মনসুর অগ্রাধিকারের তালিকা তৈরি করেছেন৷ এর মধ্যে একটি হলো রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ানো৷ রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর পাশাপাশি আইএমএফসহ ঋণদাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বাজেট সহায়তা চাচ্ছে সরকার৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘‘জ্বালানি খাতে সরকারের দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ আছে৷ এছাড়া বিদ্যুৎ ও এলএনজিসহ অন্যান্য চাহিদা মেটাতে দেশে প্রতি মাসে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হয়৷''

এপিবি/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান