1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক্সিট পোল বলছে, গুজরাট মোদীর, হিমাচলে লড়াই

৬ ডিসেম্বর ২০২২

ফল জানা যাবে বৃহস্পতিবার, তার আগে এক্সিট পোল বলছে, গুজরাট বিজেপি-র, হিমাচলে কংগ্রেস-বিজেপি লড়াই। দিল্লির পুরভোটে জিততে চলেছে আপ।

https://p.dw.com/p/4KW6h
ছবি: Saqib Majeed/ZUMA Wire/imago images

গুজরাটে গত ২৫ বছর ধরে বিজেপি ক্ষমতায়। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে বলে জানালো এক্সিট পোল বা বুথ ফেরত ভোট সমীক্ষা। শুধু ক্ষমতায় আসাই নয়, গতবারের তুলনায় অনেক বেশি আসন পেতে পারে বিজেপি। গতবার কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জের মুখে তারা পেয়েছিল ৯৯টি আসন। এবার সব এক্সিট পোলই বিজেপি-কে জয়ী হিসাবে দেখাচ্ছে। তাদের পূর্বাভাষ, বিজেপি সবচেয়ে কম ১১৭টি ও সবচেয়ে বেশি ১৫০টি আসন পেতে পারে। এনডিটিভি সবকটি এক্সিট পোলের ফল মিলিয়ে গড় করে বলছে, বিজেপি ১৩২, কংগ্রেস ও এনসিপি ৩৮ এবং আপ আটটি আসন পাবে।

গুজরাটে এবার তেড়েফুঁড়ে প্রচার করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গত ছয় মাস ধরে তিনি গুজরাট গিয়ে নিয়মিত প্রচার করেছেন। জনসভা তো বটেই, রোড শো, পদযাত্রা, ঘরে ঘরে গিয়ে আবেদন জানানো, কোনোকিছুই বাদ রাখেননি। তার আবেদন ছিল, কংগ্রেস ও বিজেপি-কে এতদিন ধরে গুজরাট-শাসনের অধিকার দিয়েছেন মানুষ। একবার তারা আপকে সেই সুযোগ দিক। আপ ক্ষমতায় এলে বিদ্যুতের দাম কমাবে, জলের মাসুল লাগবে না। সরকারি স্কুল, হাসপাতাল ভালো হবে। দিল্লির উদাহরণ দেখিয়ে ভোট টানতে চেয়েছিলেন তিনি।

বুথ ফেরত ভোট সমীক্ষা বলছে, কেজরিওয়ালের আপ খুব কম হলে তিনটি এবং খুব বেশি হলে ২১টি আসন পেতে পারে। তবে বেশিরভাগ সমীক্ষাই বলছে, আপ খুব বেশি হলে ১১ থেকে ১৩টি আসন পেতে পারে। অর্থাৎ, কেজরিওয়াল গুজরাটে বিজেপি নয়, কংগ্রেসেরই বেশি ক্ষতি করবেন।  তবে ক্ষমতায় না আসতে পারলে আপ দ্বিতীয় স্থানে থাকতে চেয়েছিল, সেটা হবে না, কংগ্রেসই দ্বিতীয় স্থানে থাকবে।

গুজরাটে এবার কংগ্রেসের রাজ্য নেতারাই মূলত প্রচার করেছেন। রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীরা প্রচারে খুবই কম সময় দিয়েছেন। নতুন সভাপতি খাড়গেও বেশি জনসভা করেননি। ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছেন হার্দিক প্যাটেল, তার আগেই বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন অল্পেশ ঠাকোর। বেশ কিছু বিধায়ক ও নেতাও ভোটের আগে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। ফলে কংগ্রেসের শক্তি এমনিতেই আগের থেকে কমেছে।

গুজরাটে বুথ ফেরত ভোট সমীক্ষার ফলে চমক নেই। বিজেপি যে গুজরাটে আবার জিততে চলেছে, সেকথা প্রায় সব রিপোর্টেই বলা হচ্ছিল। তবে হিমাচলের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রীতিমতো লড়াই হতে পারে। গত ৩৭ বছর ধরে হিমাচল প্রদেশের রীতি হলো, পাঁচ বছর পরপর ক্ষমতার বদল হয়। একবার কংগ্রেস আসে তো অন্যবার বিজেপি। প্রশ্ন হলো, এবার কি সেই প্রবণতা বহাল থাকবে, নাকি বিজেপি পরপর দুইবারের জন্য হিমাচলে জিততে পারবে?

এক্সিট পোল বলছে, তীব্র লড়াই হবে। ইনডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার সমীক্ষা বলছে, কংগ্রেস জিতবে। টুডেজ চাণক্য বলছে, দুই দলই ৩৩টা করে আসন পাবে। নির্দল পাবে দুইটি আসন। টিভি৯ বিজেপি-কে ৩৩ ও কংগ্রেসকে ৩০টি আসন দিয়েছে। জন কি বাত বিজেপি-কে ৩২ থেকে ৪০ ও কংগ্রেসকে ২৭ থেকে ৩৪ আসন দিয়েছে এবং এবিপি-সিভোটার্স বিজেপি-কে দিয়েছে ৩৩ থেকে ৪১ আসন এবং কংগ্রেসকে ৩০ থেকে ৪০টি আসন। সব সমীক্ষা বলছে, আপ এখানে একটি আসনও পাবে না।

দিল্লির পুরভোট

বুথ ফেরত ভোট সমীক্ষা বলছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ এবার দিল্লির পুরসভা দখল করবে। পুরসভায় বিজেপি-র ১৫ বছরের শাসনের অবসান হবে।

ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া সমীক্ষার ফল হলো, আপ পাবে ১৪১ থেকে ১৭১টি  আসন। বিজেপি পেতে পারে ৬১ থেকে ৯১টি। কংগ্রেস তিন থেকে সাতটি। ইটিজি-টিএনএন বলছে, দিল্লিতে আপ পেতে পারে ১৪৬ থেকে ১৫৬ আসন। বিজেপি ৮৪ থেকে ৯৪ এবং কংগ্রেস ছয় থেকে ১০টি আসন।

এক্সিট পোল নিয়ে

অনেক সময়ই দেখা যায়, এক্সিট পোল যা বলছে, তা মেলেনি। আবার অনেক সময় এক্সিট পোল প্রায় সবটাই মিলে যায়। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, এক্সিট পোল ঠিক হতে পারে, আবার ভুলও হতে পারে। এই অবস্থায় ফলাফল প্রকাশের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দিল্লি পুরসভার ফল বেরোবে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বেরোবে গুজরাট ও হিমাচলের ফলাফল।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই)