‘এক্সট্রিম’ পর্যটনে ভিড় বাড়ছে

সমুদ্রের ১৩হাজার ফুট নিচে রয়েছে বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে টাইটান ডুবযান বা সাবমার্সিবল ফেটে মারা যান পাঁচ যাত্রী৷ ২০২১ সাল থেকে চালু হয়েছে এই বিশেষ ‘টাইটানিক দর্শন’, যার খরচ মাথাপিছু আড়াই লাখ মার্কিন ডলার৷

২০২৩ সালের প্রথম কয়েক মাসে এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছান প্রায় ৬০০ পর্বতারোহী৷ কিন্তু এই পাহাড়ই এই বছর ১৩জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে৷ বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ৷ বিশ্বের সর্বোচ্চ এই পাহাড়ে উঠতে গেলে লাগে পেশাদার শেরপাদের সাহায্য৷ তবুও সহজ নয় ২৯হাজার ৩০ ফুট উঁচু এই পাহাড়ে চড়া৷

২০২১ সাল থেকে ব্লু অরিজিন নামের একটি সংস্থা মহাকাশে ১০ মিনিট ঘুরিয়ে আনার প্রকল্প চালু করে৷ এই যাত্রার প্রথম টিকিট বিক্রি হয় প্রায় তিন কোটি মার্কিন ডলার মূল্যে৷ ২০২৩ সাল থেকে ভার্জিন অ্যাটলান্টিক সংস্থাও শুরু করেছে মহাকাশ পর্যটন৷ টিকিটের দাম প্রায় পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার!

বহু পর্যটন সংস্থা গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়াতেও পর্যটক নিয়ে যায়৷ কিন্তু সমালোচকদের মতে, এই ধরনের পর্যটন আসলে সরকারপক্ষকে হালকাভাবে উপস্থাপন করে৷

গত কয়েক বছরে ইউক্রেনের চেরনোবিল শহরের আশেপাশে পর্যটনের জন্য বেশ কিছু নতুন জায়গা বানিয়েছে সরকার৷ কিন্তু ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর সব বদলে যায়৷ কিন্তু কয়েকটি পর্যটন সংস্থা বুচা ও ইরপিনের মতো রুশ দখলমুক্ত শহরে চালু করেছে ট্যুর প্যাকেজ৷

পর্যটকদের সবচেয়ে কম ভিড় থাকে উত্তর কোরিয়ায়৷ করোনা অতিমারির সময়ে এই সংখ্যা আরো কমে যায়৷ কিন্তু সরকার অনুমোদিত কয়েকটি সংস্থা উত্তর কোরিয়ার ট্যুর আয়োজন করে থাকে, যেখানে অংশগ্রহণ করতে মানতে হবে কিছু কড়া নিয়ম৷

ঘন জঙ্গলের মধ্যে বেঁচে থাকার লড়াইতেও পর্যটনের স্বাদ খুঁজে বেড়ান কিছু পর্যটক৷ ফলমূল খেয়ে, কাঠখড় পুড়িয়ে জয্গলের মাঝে রাত কাটানোই এমন পর্যটনের মূল আকর্ষণ৷

বরফের আচ্ছাদনে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকাও পর্যটনের হাত থেকে দূরে নয়৷ বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষাণে অবস্থিত এই ভূখণ্ডে যেতে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাহাজে বা বিমানে রওয়ানা দিতে হয়৷ বিমানে যেতে গেলে খরচ পড়ে ৭৬হাজার মার্কিন ডলার বা ৮৩ লাখ বাংলাদেশি টাকা৷