একাকীত্বের রাজধানী বার্লিন!
২০ অক্টোবর ২০১৯এমতাবস্থায় খ্রিস্ট্রান ডেমোক্রেটরা একাকীত্ব মোকাবেলায় বার্লিনে বিশেষ কমিশনার নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন৷ বার্লিনের প্রতি দুইটির মধ্যে একটি পরিবার একজনের৷ এখানে বয়স্কদের জন্য রয়েছে খোশগল্প করার হটলাইন৷ পেশাগতদের সময় কাটানোর আলাদা গ্রুপ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক গ্রুপ৷
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দলের (সিডিইউ) বার্লিন শাখা নিঃসঙ্গতার জন্য একজন অফিসিয়াল কমিশনার নিয়োগের দাবি জানিয়েছে৷
সিডিইউর মুখপাত্র মাইক পেন স্থানীয় পাবলিক ব্রডকাস্টার আরবিবিকে বলেন, ‘‘শহরের একাকীত্ব সমস্যা মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবীর কাজগুলো যথেষ্ট নয়৷ সব কিছু সমন্বয় করতে পুরো সময়ের জন্য একজনকে দরকার৷৷ লাখ লাখ মানুষের মহানগর হিসেবে বার্লিনে এই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার৷’’
পেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দলীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে বার্লিন শহরেরর একাকীত্ব মোকাবেলা করা প্রয়োজন৷ আমি আশা করি আমরা এখানে সব পক্ষের একাকী লোকদের জন্য কিছু করতে পরব, কারণ এটি তরুণ, বৃদ্ধ, ধনী, গরীব সবারই সমস্যা৷’’
বার্লিনের দৈনিক টাগেসস্পিগেলের ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাকীত্বের কারণে গত বছর বার্লিনের এক হাজার ৩০০ মানুষ স্বেচ্ছাসেবীর কাজে যোগ দেন৷ এই শহরে ৩৬ লাখ মানুষ বাস করে এবং প্রতি বছর এই সংখ্যা বাড়ছে৷
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বার্লিনের কমপক্ষে ৩০০ মানুষ প্রত বছর তাদের অ্যাপার্টমেন্টে মৃত্যুবরণ করেন৷ সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্লিনকে একাকিত্বের রাজধানী নামে অভিহিত করা হচ্ছে৷
গত মে মাসে ফেডেরাল সরকার পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪৫ থেকে ৮৪ বছর বয়সের জার্মানরা নিঃসঙ্গতা বোধ করেন এবং এই সংখ্যা এখন ১৫ শতাংশে ঠেকেছে৷
কোনো কোনো বয়সের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৫৯ শতাংশে ঠেকেছ এবং প্রতি চারজনের মধ্যে একজন কিশোর মাঝে মাঝে একাকীত্ব বোধ করেন বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়৷
এলিজাবেথ শুমাখার/এসআই/কেএম