একদিনে উত্তর কোরিয়ার ২৩টি মিসাইল
৩ নভেম্বর ২০২২একের পর এক মিসাইল আক্রমণ উত্তর কোরিয়ার। দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী বাফার জোনে একের পর এক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার সবমিলিয়ে ২৩টি মিসাইল ছুঁড়েছে কিম জং উনের দেশ। প্রতিটি মিসাইলই সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি মিসাইল জাপানের উপর দিয়ে গিয়ে সমুদ্রে পড়েছে। একটি মিসাইল দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্রতট থেকে মাত্র ৫৭ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। যার জেরে উলেউং দ্বীপে যুদ্ধের সাইরেন বেজে ওঠে।
বুধবার সকাল থেকেই একের পর এক মিসাইল ছুঁড়তে থাকে উত্তর কোরিয়া। পাল্টা জবাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াও। তাদের মিসাইলও দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী বাফার জোনে গিয়েই পড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের দাবি, এদিন বেশ কয়েকটি কম পাল্লার মিসাইলও নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।
ঘটনার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ''উত্তর কোরিয়াকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা হবে না।'' তিনি জানিয়েছেন, এদিন উত্তর কোরিয়ার মিসাইল জাপানের আকাশ দিয়ে এমনভাবে গেছে যে মিয়াগি, ইয়ামাগাতা এবং নিগাতা অঞ্চলে সাইরেন বেজে উঠেছে। বেসামরিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। জাপান যে মিসাইলগুলি ছুঁড়েছে তার মধ্যে একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়াও ঘটনা কড়া সমালোচনা করেছে। উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, কোরিয়ার উপকূলে জাপান, অ্যামেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার জবাবেই তারা এ কাজ করছে। কারণ, শুরু থেকেই এই মহড়া উত্তর কোরিয়া থ্রেট বা হুমকি বলে মনে করছে।
এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বললেও, পরে জাপানের সামরিক বিভাগ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার মিসাইল চিহ্নিত করার পর অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে মিসাইলের উড়ান ট্র্যাক করা হয়েছে। মিসাইলটি জাপানের খুব কাছ দিয়ে গেলেও তার আকাশসীমায় ঢোকেনি।
বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
অ্যামেরিকা এদিন উত্তর কোরিয়ার কড়া নিন্দা করেছে। অ্যামেরিকা বলেছে, ''উত্তর কোরিয়া যা করছে তা ক্ষমাহীন। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানকে রক্ষা করার জন্য অ্যামেরিকা সর্বদা আছে বলে এদিন জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল বলেছেন, উত্তর কোরিয়া উত্তেজনা ক্রমশ বাড়াচ্ছে। যুক্তরাজ্যও এর নিন্দা করেছে। রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
অ্যামেরিকার অভিযোগ
এরইমধ্যে অ্যামেরিকার অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ কিনছে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধে তা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও উত্তর কোরিয়া একাধিকবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)