একদিকে জলবাযু পরিবর্তন অন্যদিকে গৃহযুদ্ধ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩কত মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে এখনো কেউ জানেন না। তবে সরকারিভাবে বলা হচ্ছে অন্তত পাঁচ হাজার ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আসল সংখ্যা যার থেকে অনেক অনেক বেশি।লিবিয়ায় বন্যা এবং এর তার ফলে ভয়াবহতা অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু সেই বন্যার ভয়াবহতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা গৃহযুদ্ধ। গদ্দাফি মারা যাওয়ার পর থেকে লিবিয়ায় যা শুরু হয়েছে।
লিবিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে মূলত বন্যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সরকারি হিসেব অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত পাঁচ হাজার ২০০ মানুষের মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আসল সংখ্যা এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। শুধুমাত্র উপকূলবর্তী শহর ডেরনাতেই ৯০ থেকে এক লাখ মানুষ বসবাস করেন। সেখানে বহু মানুষ নিখোঁজ। মৃতের সংখ্য়া পাঁচ হাজার থেকে বহুগুণ বেশি। লিবিয়ায় রেডক্রসের প্রধান জানিয়েছেন, ''এখনো পর্যন্ত প্রত্য়ন্ত অঞ্চলে পৌঁছানোই সম্ভব হয়নি।'' তাদের বক্তব্য, কেবল ডেরনাতেই অন্তত ৩০ হাজার মানুষ নিখোঁজ। ডেরনা লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনঘাজি থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে।
এত ভয়াবহ বৃষ্টিপাত গত ৪০ বছরের মধ্যে দেখেনি লিবিয়া। ডেরনাতে একটি নদী আছে। গরমকালে তা মূলত শুকনোই থাকে। এবছর ওই নদীতে এত বেশি জল যে তার ফলে অন্তত দুইটি সেতু ধ্বংস হয়েছে। কয়েকটি বহুতল বাড়িও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন অবশ্যই এই ঘটনার অন্যতম কারণ। কিন্তু লিবিয়ায় তার প্রভাবে ঘটে যাওয়া বন্যা মোকাবিলা করার মতো কোনো প্রশাসন নেই। দুর্যোগ মোকাবিলা দলের মতো কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল সেখানে নেই। এর মূল কারণ গৃহযুদ্ধ। আরব বসন্তের পর লিবিয়ায় যা শুরু হয়েছে। বস্তুত, লিবিয়ায় গদ্দাফির শাসন চলতো। সেই শাসন ফেলে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়াস হয়েছিল লিবিয়ায়। কিন্তু ২০১১ থেকে তা এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)