একজন যদি ধর্মীয় সংগঠনকে আক্রমণ করে তাহলে হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভ হবে না?: কাজল বণিক
চট্টগ্রাম জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক কাজল বণিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, "মঙ্গলবার রাতে যৌথ বাহিনী হাজারী গলিতে ঢুকে যাকে পেয়েছে তাকেই মেরেছে। নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে। বাসা-বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। পরে সব দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার সব ব্যবসায়ী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। সেখানেই কাজ করা একজন যদি ধর্মীয় সংগঠনকে আক্রমণ করে তাহলে হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভ হবে না? ক্ষোভ থেকে প্রতিবাদ হয়েছে। সেখানে নির্বিচারে হামলা করা হয়েছে মানুষের ওপর। প্রত্যেকটি জুয়েলারি দোকানে দুই-তিনটি করে সিসি ক্যামেরা আছে সবগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। যে এসিড নিক্ষেপ করেছে তাকে গ্রেপ্তার করুক। আমরা তো বাধা দেবো না। আমরা যেটা শুনেছি, গেট ভাঙার আগে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বলছেন, এক দুই তিন দরোজা খোল, না হলে গুলি করবো৷ এমন পরিস্থিতিতে কেউ নাকি জুয়েলারি দোকানে থাকা এসিড তাদের দিকে ফেলেছে। আসলে ওই সময় সেখানে পরিস্থিতি কেমন ছিল, সেটা বুঝতে হবে। আমরাও তো ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করি। আমরা তো এই বাংলাদেশ চাইনি৷ বাড়ি বাড়ি ঢুকে, গেট ভেঙে যেভাবে পেটানো হয়েছে সেটা দেখলে যে কারো চোখে জল চলে আসবে৷ এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়?”
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ হলো বৈষ্ণব মতবাদের একটি হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন, যারা তাদের আধ্যাত্মিক দর্শন প্রচার করে থাকেন। বিশ্বের অনেক দেশে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে ইসকনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বক্তব্য এসেছে। চট্টগ্রামে ইসকন নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। গত ৩০ অক্টোবর সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালীয় থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের এই মামলা করেন চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান। ওই মামলা করার কারণে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন চান্দগাঁও থানার সভাপতি মোহাম্মদ আজম।