একই দিনে তিন হামলায় ইউরোপজুড়ে আতঙ্ক
২০ ডিসেম্বর ২০১৬জার্মানির রাজধানী বার্লিনে সোমবার রাতে ব্যস্ত ক্রিসমাস মার্কেটে লরি নিয়ে ঢুকে ১২ জনকে হত্যার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে৷ ঐ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত৷ লরির চালক সন্দেহে একজনকে আটক করেছে বার্লিনের পুলিশ৷ গাড়ির ভেতরে আরেকজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে৷ সন্দেহভাজন ট্রাক চালক পাকিস্তান বা আফগানিস্তান বংশোদ্ভূত আশ্রয়প্রার্থী বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ ও দৈনিক ডি ভেল্ট৷ সে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জার্মানিতে এসেছে বলে জানা গেছে৷ তবে কর্তৃপক্ষ এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি৷
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, পোল্যান্ড থেকে ইস্পাত নিয়ে ট্রাকটি ইটালিতে যাচ্ছিল, তবে সোমবার বিকেল ৫টায় ট্রাক চালকের সঙ্গে শিপিং কোম্পানির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷
এদিকে, তিন স্থানে হামলার ঘটনার সমালোচনা করে ভবিষ্যৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘সন্ত্রাসী’দের নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আইসিস সহ অন্যান্য ইসলামি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো জিহাদের অংশ হিসেবে তাদের সমাজে বসবাসরত খ্রিষ্টানদের নিয়মিতভাবে হত্যা করছে৷’’
ফিলিপ মরিস টুইটারে লিখেছেন, ‘‘ভবিষ্যত নিয়ে এতটা ভীত আমি কখনো হইনি৷’’ হারশিমরাত কওর বার্লিন হামলায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন৷ স্টেফানি হামিল লিখেছেন, ‘‘একই দিনে তিন তিনটি হামলার ঘটনা৷ আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি৷ হামলায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি৷’’
আরেক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘যে তোমাকে আশ্রয় দিয়েছে, সেই মানুষদের কীভাবে তুমি হত্যা করো? এটা সবচেয়ে ভয়ংকর বিশ্বাসঘাতকতা৷’’
জার্মান পুলিশ কোনো গুজবে কান না দিয়ে তাদের টুইট অ্যাকাউন্টে দেয়া তথ্য অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে৷
ট্রাক চালক সম্ভাব্য মুসলিম শরণার্থী হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে পল যোসেফ ওয়াটসন লিখেছেন, ‘‘ম্যার্কেলের নীতি এখন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে৷'' এজন্য তিনি ম্যার্কেলকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন৷
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক