একই অঙ্গে এত রূপ!
জার্মানিতে কখন কোন ঋতু চলছে তা গাছের দিকে তাকালেই বোঝা যায়৷ জার্মানির চারটি ঋতুর চিত্র আপনাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে একটিমাত্র গাছের মধ্য দিয়ে৷
শুধুই ডাল-পালা
ছবিটি দেখে কি কারো মনে হবে যে, এই গাছটি আবার ফুল আর পাতায় ভরে উঠবে? বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে পরের ছবিটি দেখুন!
কী অপরূপ প্রকৃতি, বসন্ত যে এসে গেছে!
শীতের পরে যখন তাপমাত্রা একটু একটু বাড়তে থাকে, তখন ধীরে ধীরে গাছটিতে ফুলের কলি আসতে শুরু করে৷ তারপর তো দেখতেই পাচ্ছেন! হ্যাঁ, বসন্তের আগমন ঘটেছে৷ গাছের এই মোহময়ী রূপ থেকে সত্যিই সহজে চোখ ফেরানো যায় না! তবে ‘ফুল’ কিন্তু গাছে থাকে মাত্র তিন থেকে চার সপ্তাহ৷ তারপর ঝড়তে শুরু করে৷ ছবিটি এপ্রিল মাসে তোলা৷
ফুল ঝরে পাতা বাড়ে
জার্মানির গ্রীষ্ম দেখতে এমনই৷ শুধু সবুজ আর সবুজ৷ তবে মজার ব্যাপার কি জানেন, এই গাছটির মতো এদেশের অনেক গাছেই প্রথমে হয় ফুল, তারপর পাতা৷ তারপর একদিকে ফুল ঝরতে থাকে, পাশাপাশি বাড়তে থাকে কচি পাতা৷ তবে পাতাগুলো পুরোপুরি সবুজ হওয়ার পর অনেকদিন সেরকমই থাকে৷ জার্মানির গ্রীষ্মকালে যেদিকেই তাকাবেন, দেখবেন, শুধু সবুজ আর সবুজ৷
হেমন্ত এসেছে দ্বারে
দেখুন, সবুজ পাতার রং ধীরে ধীরে কীভাবে বদলে যাচ্ছে৷ কখনো হলুদ, কখনোবা কমলা আবার কখনো ধূসর হয়ে ঝরে পড়তে থাক গাছ পুরোপুরি ন্যাড়া না হওয়া পর্যন্ত৷ এই গাছটির নামও ভারি মিষ্টি ‘ব্লাউরেগেন’ আর বাংলায় বলতে গেলে ‘নীলবৃষ্টি’ তবে বোটানিক্যাল নাম হচ্ছে ভিস্টেরিয়া ও গ্লিজিনি৷
শীতকাল মানেই...
শেষ পর্যন্ত একেবারে ন্যাড়া৷ আর ন্যাড়া গাছে তুষার পড়ে একেবারে ভিন্ন চেহারা! শীতকালে গাছটিকে তুষারের সাজে ভীষণ সুন্দর লাগে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আজকাল অবশ্য, বিশেষ করে জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যে আর তেমন তুষারপাত হয় না৷
বড়দিনের সাজে
গাছে ফুল-পাতা কিছুই নেই, তাই বলে কি সাজতে মানা! এবার ন্যাড়া গাছ সেজেছে বড়দিনের সাজে৷ জার্মানিতে বড়দিন উপলক্ষে প্রায় প্রতিটি বাড়িকেই বিভিন্ন ধরনের লাইট বা আলো দিয়ে নানা সাজে সাজানো হয়৷