বিশ্ব গণমাধ্যমে আবারও সাভার
১০ মে ২০১৩ফলে আরও একবার বিশ্ব গণমাধ্যমে ভবন ধসের ঘটনা সামনে এসেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য দেশের গণমাধ্যমগুলোতে লাশের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে৷ আর সে খবরগুলো ফেসবুকে শেয়ার হচ্ছে৷
মোবাশ্বার হাসান নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লাশের সংখ্যাটা জানিয়ে লিখেছেন ‘নো কমেন্টস'!
সামহয়্যার ইন ব্লগে ‘আহ্নিক অনমিত্র'-র লেখায় ক্ষোভ ঝড়ে পড়েছে৷ তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের চোখে গার্মেন্টস শ্রমিক মারা গিয়েছে, বাইরে দেশের ইমেজ নষ্ট হবে৷ একটু ব্যবসা মন্দ যেতে পারে, এতটুকুই৷ মন্ত্রীদের চোখে এসব কিছুই না, প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধু ভুল পরিসংখ্যান, বিরোধী দলের কাছে শুধু আগামীতে ভোটে জেতার মোক্ষম অস্ত্র৷''
আরেক ব্লগার কবির সরদারের মনে প্রশ্ন, ‘‘নিহত ও আহতদের পরিবারকে স্থায়ী সহযোগিতার জন্য সংশিষ্টরা কি কিছু ভাবছেন?'' তিনি ধসে পড়া ভবনের জায়গায় একটি ‘স্মৃতি টাওয়ার' তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন৷ আর সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নিহতদের পরিবার ও আহতদের আজীবন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার কথা বলেছেন তিনি৷
ফেসবুকের আরেক ব্যবহারকারী বায়েস আহমেদ তাঁর একটি অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন৷ তিনি অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি করছেন৷ এক সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন মার্কিন এক অধ্যাপক৷ তিনি কথা প্রসঙ্গে সাভারের ভবন ধসের কথা উল্লেখ করেন৷ সেই সময় বায়েস আহমেদ মার্কিন ঐ অধ্যাপককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘আপানারা আমাদের এইসব নিরীহ শ্রমিকদেরকে যে পরিমাণ বেতন দেন তাতে করে বেচারাদের দিনে এক গ্লাস পানি খাওয়ার টাকাই থাকে না....বলি কি, আপনারাও এই মৃত্যুর জন্য দায়ী!''
তাঁর এই বক্তব্য শুনে মার্কিন ঐ অধ্যাপক সেমিনার ছেড়ে চলে যান, আর ফিরে আসেননি, বলেন বায়েস আহমেদ৷