বাংলা চলচ্চিত্র
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ঐতিহাসিক বললেও এই ঘটনাকে কম বলা হবে৷ দুই বাংলার ভাগ হওয়াটা যেমন এক ঐতিহাসিক ভবিতব্য ছিল, দুই বাংলার চলচ্চিত্র ও অন্যান্য বিনোদন শিল্পকে সংযুক্ত করে একসঙ্গে কাজ করার এই উদ্যোগও এক নতুন ইতিহাস লিখতে চলেছে৷ বছর দেড়েক আগে যার শুরুটা করেছিল ভারতের বণিক সংগঠন ফিকি এবং অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরিচালক গৌতম ঘোষ, ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা৷ কেন এই উদ্যোগ, সে কথা জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ নিজেই৷
বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান যিনি তথ্যমন্ত্রী, সেই হাসানুল হক ইনু আমন্ত্রিত হয়েছিলেন গত ডিসেম্বরে কলকাতায়, ফিকি আয়োজিত এই বিনোদন বিষয়ক কনক্লেভে৷ সংযুক্ত বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা সম্পর্কে উৎসাহিত হয়ে, টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের তিনি বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানান এবং আগাগোড়া নিজে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের বিনোদন জগতের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে টালিগঞ্জের প্রতিনিধিদের বৈঠকের ব্যবস্থা করে দেন৷ উদ্যোগটা সেখান থেকেই গতি পায়৷ এই মুহূর্তে ঢাকা এবং টালিগঞ্জের দুই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এক মউ বা সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের মুখে, যার সুবাদে পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশে যৌথ বিনিয়োগে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি হবে, যেখানে সিনেমা দেখানোর আধুনিক বন্দোবস্ত থাকবে৷ হাসানুল হক ইনুকে এ ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী মনে হল৷
বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের অধিকর্তা পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একটু প্রাঞ্জল করে দিলেন এই যৌথ উদ্যোগের উদ্দেশ্য সম্পর্কে৷
নিশ্চিতভাবে চুক্তি স্বাক্ষরেই থামবে না ঐক্যবদ্ধ বাংলা ইন্ডাস্ট্রি গড়ার এই উদ্যোগ৷ তার সবথেকে বড় কারণ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে পূর্ণ সম্মতি দিয়ে রেখেছেন, জানালেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু৷