এক বছরে ঘরছাড়া সাড়ে তিন কোটি মানুষ
২৮ এপ্রিল ২০২০গতবছর বাংলাদেশ, ভারত ও মোজাম্বিকে সাইক্লোন, আর বাহামায় ডোরিয়ান হ্য়ারিকেন আঘাত হেনেছিল৷
বন্যার কারণে ২০১৯ সালে ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় এক কোটি মানুষ৷ গতবছর বেশিরভাগ বন্যা হয়েছে আফ্রিকাতে৷
দাবানল, খরা, ভূমিধস আর চরম তাপমাত্রার জন্য প্রায় নয় লাখ মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় গতবছর দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল৷
আরো প্রায় এক কোটি মানুষ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলেন বা সরকার তাদের সরিয়ে নিয়েছিল বলে জানিয়েছে আইডিএমসি৷
এছাড়া বুর্কিনাফাসো, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে গতবছর ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ৮৫ লাখ মানুষ৷
সব মিলিয়ে ২০১৯ সালে প্রায় তিন কোটি ৩৪ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হন বলে জানিয়েছে আইডিএমসি৷
সংস্থাটি বলছে, ঘরছাড়াদের অনেকে আবার ঘরে ফিরে আসে৷ তবে একটা অংশ আর ফিরতে পারে না৷ ফলে ২০১৯ সাল শেষে মোট পাঁচ কোটি আট লাখ মানুষ ঘরছাড়া ছিল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ৷
এদের অনেকে অল্প জায়গায় একসঙ্গে বসবাস করছেন৷ এ কারণে তাদের অনেকে সহজেই করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন আইডিএমসির পরিচালক আলেকজান্দ্রা বিলাক৷
তবে আইডিএমসির এসব পরিসংখ্যান আশার কথাও শুনিয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য যারা ঘর ছেড়েছেন, তাদের অধিকাংশকেই দুর্যোগের পূর্বাভাস পেয়ে আগেই সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ ফলে মৃত্যুর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি দুর্যোগ শেষে ঘরবাড়ি টিকে থাকলে সেখানে ফিরতেও পেরেছেন অনেকে৷
আইডিএমসি বলছে, বাংলাদেশ, ভারতের পূর্ব-সতর্কীকরণ ব্যাবস্থা ভালো হওয়ার কারণে ফণী, বুলবুলের সময় লাখ লাখ মানুষকে সময়মতো সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে৷ একই কারণে লেকিমা ও কামুরি ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে চীন ও ফিলিপাইন্সও তাদের নাগরিকদের বিপদমুক্ত করতে পেরেছে৷
তবে পূর্ব-সতর্কীকরণ ব্যবস্থা না থাকায় আফ্রিকায় সাইক্লোন ইডাই ও কেনেথের কারণে কম মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন, কিন্তু মারা গেছেন বেশি মানুষ৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি, রয়টার্স)