এএফসি কাপে বসুন্ধরা কিংস-কে চার গোল দিলো ইস্টবেঙ্গল
৩০ অক্টোবর ২০২৪অস্কার ব্রুজোনের হাত ধরে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিল বসুন্ধরা কিংস। সেই অস্কারই এখন ইস্টবেঙ্গলের কোচ। ভারতের প্রধান ফুটবল টুর্নামেন্টে আইসিএলে লাগাতার হারের পর কুয়াদ্রাতকে সরিয়ে ব্রুজোনকে কোচ করেছে ইস্টবেঙ্গল। তার হাত ধরেই আটটা হার ও একটা ম্যাচ ড্র করার পর জয়ে ফিরলো ইস্টবেঙ্গল। সেটাও এএফসি কাপে, বসুন্ধরা কিংসকে চার গোলে হারিয়ে।
ইস্টবেঙ্গলের কাছে এটা ছিল নিজেদের অস্তিত্বরক্ষার ম্যাচ। শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব পরপর আটটা ম্যাচ হারার পর প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে। কোচ বদল হয়েছে। প্লেয়ারদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে যায়। এএফসি কাপের গত ম্যাচে পারো এফসি-র বিরুদ্ধে প্রচুর সুযোগ নষ্ট করে ২-২ ড্র করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ফলে বসুন্ধরার বিরুগদ্ধে প্রথম থেকেই জয়ের জন্য ঝাঁপায় তারা।
অন্যদিকে ব্রুজোনের কাছেও এটা ছিল নিজেকে আবার প্রমাণ করার ম্যাচ। পুরনো ক্লাব বসুন্ধরাকে প্রচুর সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হওয়ার পর আইসিএলের দুইটি ম্যাচে দল হেরেছে। তবে ব্রুজোনের কোচিংয়ে ইস্টবেঙ্গলের খেলার উন্নতি হয়েছে।
এদিন খেলার একেবারে শুরুতেই সাফল্য পায় ইস্টবেঙ্গল। ৩৩ সেকেন্ডে বসুন্ধরার পেনাল্টি বক্সে বল পান দিয়ামানতাকোস। হাফ টার্ন করে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকটি সহজ সুয়োগ নষ্ট করেন নন্দকুমার, নওরেম মহেশরা। কিন্তু সৌভিক চক্রবর্তীর গোলার মতো শটে ইস্টবেঙ্গল দুই গোলে এগিয়ে যায়।
তৃতীয় গোলটি অবস্য করেন নন্দকুমার। তালাল মাদিহর থ্রু পাস পেয়ে বসুন্ধরার পেনাল্টি বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল গোলে ঠেলে দেন। ৩৩ মিনিটে চতুর্থ গোল করেন ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার আনোয়ার। বসুন্ধরার ডিফেন্ডাররা বল ঠিক করে ক্লিয়ার করতে পারেনি। সেই বল ধরে সুন্দর শটে গোল করে যান তিনি।
৩৩ মিনিটে চার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেও ইস্টবেঙ্গল আক্রমণাত্মক খেলছিল। তারা বেশ কয়েকটি সহজ সুয়োগ নষ্ট করে। ক্লেটন সিলভা দ্বিতীয়ার্ধে নেমে দুইবার গোল করার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।
বসুন্ধরা পরের দিকে কয়েকটা সুয়োগ পায়। একবার ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক প্রভাসুখন গিল অসাধারণ সেভ করেন। একবার বল বারে লাগে।
ম্যাচের পর ব্রুজোন বলেছেন, ''আমি খুশি, তবে উচ্ছ্বসিত নই। ক্লাব একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। এই জয় সমর্থকদের উৎসর্গ করছি। প্রচুর সমর্থক ভুটানে এসে খেলা দেখেছেন। তাদের ধন্যবাদ।''
জিএইচ/এসজি(স্পোর্টসস্টার, এএনআই)